ইকোনমিস্টের গণতন্ত্র সূচকে একধাপ পেছালো বাংলাদেশ

0
1039
blank
blank

নিউজ ডেস্ক: ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) ‘গণতন্ত্র সূচক-২০১৫’তে একধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। এ বছর বাংলাদেশের অবস্থান ৮৬তম। ২০১৪তে অবস্থান ছিল ৮৫তম। বৃটেনের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ইকোনমিস্টের গবেষণা ও বিশ্লেষণধর্মী বিশেষ ইউনিট ইআইইউ ২০১৫ সালের গণতন্ত্র সূচকে ১৬৭টি দেশের অবস্থান তুলে ধরেছে। ইনডেক্স অব ডেমোক্রেসি ২০১৫ শীর্ষক সূচকটি প্রকাশ করা হয় বৃহস্পতিবার। এবারের সূচকে ১০ পয়েন্টের মধ্যে বাংলাদেশের স্কোর ৫.৭৩। গণতন্ত্রের বিচারে সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ভারতের অবস্থান ৩৫, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ৬৯ , ভুটানের ১০১, পাকিস্তানের ১১২ ও নেপালের ১০৫। তালিকায় মালদ্বীপ অন্তর্ভুক্ত ছিল না। সূচকের শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ নরওয়ে। শীর্ষ ৫ এর বাকি দেশগুলো হলো আইসল্যান্ড, সুইডেন, নিউজিল্যান্ড ও ডেনমার্ক। অপর উল্লেখযোগ্য দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ২০তম, কানাডা ৭ম ও অস্ট্রেলিয়া ৯ম স্থানে রয়েছে। সূচকের তলানিতে একেবারে নিচে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। আর সর্বনিম্ন ৫টি দেশের বাকিরা হলো- সিরিয়া, চাদ, মধ্য আফ্রিকান রিপাবলিক ও ইকুয়েটোরিয়াল গিনি। ইআইইউ তাদের রিপোর্টে লিখেছে, ‘আতঙ্কের যে যুগে আমরা বাস করছি তা গণতান্ত্রিক মানদণ্ড রক্ষা আর বিশ্বজুড়ে গণতন্ত্র ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সহায়ক নয়।
ইআইইউ এর সর্বশেষ এই গণতন্ত্র সূচকে ২০১৫ সালের পরিস্থিতি উঠে এসেছে, যে বছরটিতে যুদ্ধ, সন্ত্রাসবাদ, গণ অভিবাসনসহ অন্যান্য নানা সংকটের সঙ্গে লড়াই করেছে গণতন্ত্র। কিছু কিছু ক্ষেত্রে গণতন্ত্র মারাত্মকভাবে পিছিয়ে গেছে। আমাদের এই উদ্বেগের যুগে ভয় আর নিরাপত্তাহীনতার প্রথম বলি প্রায়শ হয়ে থাকে স্বাধীনতা। ইআইইউর এই সূচক অনুযায়ী, ‘পূর্ণ গণতন্ত্রের’ দেশের সংখ্যা কম। মাত্র ২০টি। ৫৯টি দেশকে চিহ্নিত করা হয়েছে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ হিসেবে। আর সূচকের বাকি ৮৮টি দেশের মধ্যে ৫১টি ‘কর্তৃত্বপরায়ণ’ ও ৩৭টি ‘হাইব্রিড রেজিম’ (মিশ্র শাসন ব্যবস্থা) হিসেবে বিবেচিত। ’