ইভিএম এর মাধ্যমে ভোট চুরির সুযোগ রয়েছে: আমির খসরু

0
598
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোট চুরির সুযোগ রয়েছে। ভয় ভীতির মাধ্যমে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন করিয়ে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএনপি। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সাথে ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

বিএনপির প্রতিনিধি দলে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা উত্তরের বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আওয়াল, দক্ষিণের মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, বিএনপি’র চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকার ও বিএনপি’র যুগ্ম-মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।

বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে, নিঃশব্দে ভোট চুরির প্রকল্প হলো ইভিএম। পৃথিবীর ২০০ দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই চারটি দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোনটাই বিতর্কিত নয়। বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটিই বিতর্কিত।’

তিনি বলেন, “২০১৪ সালে ভোটারবিহীন প্রার্থীবিহীন একটা নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। ২০১৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। এখন ক্ষমতা দখলের একটি নতুন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো ইভিএম।

‘ইভিএমের মাধ্যমে ভোটচুরির যে প্রক্রিয়া, সেটা হলো- একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোটচুরির একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই না। নির্বাচনের ফলাফল কী হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএম এর প্রোগ্রামের উপর। জনগণ যে ভোট দেবে, সে ভোটটা কাকে দেবে তার পেপার ট্রেইল নাই। ট্রেইল না থাকার কারণে ইভিএমের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জামিলুর রেজা চৌধুরী এই প্রকল্পে সই করেননি। ফলে সেখানে ভেরিফাই বা পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নাই। তারপরও নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ইভিএমে গেছে।

‘যেভাবে ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ব্যালট বাক্স ভর্তি করা হয়েছে, প্রার্থীবিহীন নির্বাচনে জয়লাভ করেছে, একইভাবে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এই ভোট অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। জনগণ সারাদিন ভোট দেবে, তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ, ইভিএম-এর প্রোগ্রামে যেভাবে সেট করা আছে সেভাবেই ফলাফল আসবে।”

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও প্রযুক্তির মাধ্যমে টাকা চুরি করা হয়েছে। ফলে ইভিএম একই প্রক্রিয়ায় ভোট চুরি হবে। এর মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার ফিরে পাবে না।’

তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমাদের একজন প্রার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেকজনকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ তাকে মুন্সিগঞ্জের আলু খেতে পাওয়া গেছে। সংরক্ষিত নারী আসনের আমাদের এক প্রার্থীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে। ভয়-ভীতি দেখিয়ে নির্বাচন থেকে সরিয়ে ফেলার যে প্রক্রিয়া তা ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। অভিযানের নামে দেশের বিভিন্ন অভিযানের নামে বিএনপি প্রার্থীর সমর্থক এজেন্ট হয়রানি করা হয়। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কমিশনে তুলে ধরেছি। তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন এই ধরনের অভিযান এবার হবে না।’