উচ্চাদালতের বিচারক নিয়োগ ও শপথ

0
861
blank
blank

ইকতেদার আহমেদ: বাংলাদেশের উচ্চাদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগ নিয়ে গঠিত। উভয় বিভাগ কতজন বিচারক নিয়ে গঠিত হবে, সে বিষয়ে সংবিধানে নির্দিষ্ট সংখ্যার উল্লেখ নেই। কোন বিভাগে কখন কতজন বিচারক পদে বহাল থাকবেন, তার প্রয়োজনীয়তা নিরূপণের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির ওপর ন্যস্ত হলেও রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমাবদ্ধতার কারণে এটি পুরোপুরি সরকারের প্রধান নির্বাহী প্রধানমন্ত্রীর আকাক্সক্ষার ওপর নির্ভরশীল।
প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারকেরা আপিল বিভাগে বসেন; অপর দিকে হাইকোর্ট বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী বিচারকেরা হাইকোর্ট বিভাগে বসেন। প্রধান বিচারপতি ও অপরাপর বিচারকদের নিয়োগ বিষয়ে যোগ্যতা এবং উভয় বিভাগের বিচারকের সংখ্যাবিষয়ক বিধানাবলি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ ও ৯৮-এ উল্লিখিত হয়েছে।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৫ বিচারকদের নিয়োগবিষয়ক। এ অনুচ্ছেদটিতে বলা হয়েছে- প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান করবেন। অনুচ্ছেদটির দফা ২-এ বলা হয়েছে- কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশের নাগরিক না হলে এবং (ক) সুপ্রিম কোর্টে অন্যূন ১০ বছর কাল অ্যাডভোকেট না থেকে থাকলে; অথবা (খ) বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় সীমানার মধ্যে অন্যূন ১০ বছর কোনো বিচার বিভাগীয় পদে অধিষ্ঠান না করে থাকলে; অথবা (গ) সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইনের দ্বারা নির্ধারিত যোগ্যতা না থেকে থাকলে; তিনি বিচারক পদে নিয়োগ লাভের যোগ্য হবেন না।
সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৮ সুপ্রিম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকবিষয়ক। এ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে- এ সংবিধানের ৯৪ অনুচ্ছেদের বিধানাবলি সত্ত্বেও রাষ্ট্রপতির কাছে সুপ্রিম কোর্টের কোনো বিভাগের বিচারকসংখ্যা সাময়িকভাবে বাড়ানো উচিত বলে সন্তোষজনভাবে প্রতীয়মান হলে তিনি যথাযথ যোগ্যতাসম্পন্ন এক বা একাধিক ব্যক্তিকে অনধিক দুই বছরের জন্য অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত করতে পারবেন; কিংবা তিনি উপযুক্ত বিবেচনা করলে হাইকোর্ট বিভাগের কোনো বিচারককে যেকোনো অস্থায়ী মেয়াদের জন্য আপিল বিভাগের আসন গ্রহণের ব্যবস্থা করতে পারবেন; তবে শর্ত থাকে যে, অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত কোনো ব্যক্তিকে এ সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদের অধীন বিচারকরূপে নিযুক্ত হতে কিংবা বর্তমান অনুচ্ছেদের অধীন আরো এক মেয়াদের জন্য অতিরিক্ত বিচারকরূপে নিযুক্ত হতে বর্তমান অনুচ্ছেদের কোনো কিছুই নিবৃত্ত করবে না।
উপরোল্লিখ উভয় অনুচ্ছেদের বিধানাবলির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে যে বিধান অনুসৃত হয় তাতে দেখা যায়, বাংলাদেশের একজন নাগরিকের অন্যূন ১০ বছর সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে কর্মের অভিজ্ঞতা থাকলে অথবা বিচার বিভাগীয় পদে ১০ বছর কর্মের অভিজ্ঞতা থাকলে তাকে দুই বছরের জন্য অস্থায়ী বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। অস্থায়ী হিসেবে নিয়োগ পাওয়া বিচারকের বিচারিক কর্ম সন্তোষজনক হলে দুই বছর শেষে তাকে হাইকোর্ট বিভাগে স্থায়ী বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। অস্থায়ী বিচারক থেকে স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতির সুপারিশ মুখ্য হলেও অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে বলা যায়, এ বিষয়ে সরকারের অভিপ্রায়ই সব কিছুর ঊর্ধ্বে।
বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৫-এর বিধানাবলিসাপেক্ষে সরাসরি স্থায়ী বিচারক পদে নিয়োগ বারিত না হলেও এ যাবৎকাল পর্যন্ত অনুসৃত বিধান অনুযায়ী প্রথমত, দুই বছর মেয়াদের জন্য হাইকোর্ট বিভাগে অস্থায়ী বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া হয় এবং অতঃপর সরকারের সন্তুষ্টিসাপেক্ষে স্থায়ী বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া হয়। এক বা একাধিক অস্থায়ী বিচারকের ক্ষেত্রে আরো এক মেয়াদ বৃদ্ধি-পরবর্তী স্থায়ী করার নজির রয়েছে।
উচ্চাদালতের প্রধান বিচারপতি এবং উভয় বিভাগের বিচারকের পদ সংবিধানের তৃতীয় তফসিলে উল্লিখিত পদ বিধায় তাদের নিয়োগ-পরবর্তী যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা শপথ নেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা পদে আসীন হন না। প্রধান বিচারপতির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি শপথ পাঠ পরিচালনা করেন। আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি শপথ পাঠ পরিচালনা করেন। হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের ক্ষেত্রে দেখা যায়, অস্থায়ী ও স্থায়ী হিসেবে নিয়োগকালীন উভয় ক্ষেত্রে শপথ নিয়ে থাকেন; যদিও শপথ পাঠের জন্য নির্ধারিত বাক্যাবলি পর্যালোচনায় প্রতীয়মান হয়, হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের অস্থায়ী ও স্থায়ী হিসেবে কোনো পৃথক শপথ পাঠ নেই।
বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৫-এ উল্লিখিত যোগ্যতার অতিরিক্ত কোনো যোগ্যতার উল্লেখ নেই। প্রধান বিচারপতি এবং আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে সচরাচর জ্যেষ্ঠতার নীতি অনুসৃত হলেও একাধিকবার জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘনের ঘটনা পরিলক্ষিত হয়েছে। জ্যেষ্ঠতা অর্থ প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠতম বিচারক এবং আপিল বিভাগে বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের জ্যেষ্ঠতার ক্রমানুযায়ী বিচারকদের নিয়োগ।
প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগ সম্পূর্ণরূপে নতুন নিয়োগ। উভয় নিয়োগের ক্ষেত্রে নতুনভাবে শপথ নেয়ার আবশ্যকতা রয়েছে। এ যাবৎকাল বাংলাদেশে কখনো সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারক হিসেবে কর্মরত নন এমন কোনো ব্যক্তিকে প্রধান বিচারপতি বা আপিল বিভাগের বিচারক পদে নিয়োগ দেয়া হয়নি, যদিও সংবিধানের অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৫-এর বিধানাবলিসাপেক্ষে অনুরূপভাবে কর্মরত ছিলেন না এমন ব্যক্তিকে উভয় ক্ষেত্রে নিয়োগ সংবিধানে নিষিদ্ধ নয়।
সংবিধান অনুযায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ ছাড়া তার একক ক্ষমতাবলে নিয়োগ কার্যটি সমাধার জন্য ক্ষমতাপ্রাপ্ত হলেও অতীতে পদটিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব সময় আইন মন্ত্রণালয়ের তৈরী করা সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় হয়ে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে পৌঁছানোর পরই নিয়োগসংক্রান্ত কার্যটিকে চূড়ান্ত রূপ দেয়া হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে বিচারক পদে নিয়োগের জন্য অনুচ্ছেদ নম্বর ৯৫-এ আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত অপরাপর যোগ্যতার কথা বলা হয়েছে কিন্তু আজ পর্যন্ত আইনে নির্ধারিত যোগ্যতা সন্নিবেশন করে কোনো আইন প্রণীত হয়নি।
বাংলাদেশে বিচারকর্ম বিভাগে নিযুক্ত ব্যক্তিরা জেলা ও দায়রা জজ, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ, সিনিয়র সহকারী জজ, সহকারী জজ ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। সমপদধারীদের অনেকে ট্রাইব্যুনালের প্রধান হিসেবে বিচারকার্য পরিচালনা করে থাকেন। আইনে প্রতিষ্ঠিত এসব আদালত সংবিধানে অধস্তন আদালত হিসেবে অভিহিত। সাংবিধানিকভাবে এ সব আদালত ও ট্রাইব্যুনালের ওপর সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগকে তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। সংবিধানে উচ্চাদালত ও অধস্তন আদালতের বিচারকদের সম্পর্কে বলা হয়েছে- তারা সংবিধানের বিধানাবলিসাপেক্ষে বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষেত্রে স্বাধীন থাকবেন।
যেকোনো আদালতকে স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনার ক্ষমতা দেয়া হলে তাকে অধস্তন আদালত হিসেবে অভিহিত করা যাবে কি না, সে বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে। এ ধরনের আদালতকে অধস্তন আদালত না বলে আইনের অধীনে সৃষ্ট আদালত বলাই শ্রেয়। প্রণালী আইনের (Procedural law) কারণে এক আদালত থেকে পরবর্তী উচ্চাদালতে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল বা রিভিশন দায়েরের বিধান থাকলেও স্বাধীনভাবে বিচারকার্য পরিচালনা ক্ষমতাপ্রাপ্ত এমন কোনো আদালত অধস্তন হিসেবে অভিহিত হলে তাতে আদালতের স্বাধীনতা খর্ব হয়।
আইনের মাধ্যমে সৃষ্ট বা অধস্তন আদালতগুলোর সর্বনিম্ন পদ হলো সহকারী জজ। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নামে স্বতন্ত্র অস্তিত্ব বিশিষ্ট কোনো পদ নেই। বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের মূল পদ সহকারী জজ বা সিনিয়র সহকারী জজ বা যুগ্ম জেলা জজ বা অতিরিক্ত জেলা জজ। সহকারী জজ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেয়ার জন্য একজন প্রার্থীর কী ধরনের যোগ্যতার প্রয়োজন, তা আইন ও বিধি দিয়ে নির্ধারিত। উচ্চাদালতের বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগের নিম্নতম পদে প্রবেশ পরীক্ষার জন্য যে যোগ্যতা নির্ধারণ করে দেয়া আছে এর চেয়ে কম যোগ্যতা কোনোভাবেই গ্রহণীয় হতে পারে না। অনুরূপে প্রধান বিচারপতি ও আপিল বিভাগের বিচারক উভয় ক্ষেত্রে তাদের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারকদের চেয়ে অধিকতর যোগ্যতাসম্পন্ন হওয়া প্রত্যাশিত।
বাংলাদেশের মূল সংবিধান অর্থাৎ ’৭২-এর সংবিধানে সুপ্রিম কোর্টের অপরাপর বিচারক নিয়োগের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শের বিধান ছিল। সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে এ বিধানটি খর্ব করা হলেও পরবর্তীতে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে পুনঃপ্রতিস্থাপিত হয়।
উচ্চাদালতের বিচারকেরা যেন নিয়োগ-পরবর্তী প্রলোভনের ঊর্ধ্বে থাকে সে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশের মূল সংবিধানে উচ্চাদালতের বিচারকদের অবসর-পরবর্তী প্রজাতন্ত্রের কর্মে যেকোনো ধরনের নিয়োগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ থেকে অবসর-পরবর্তী আপিল বিভাগে ওকালতি করার বিধান বারিত ছিল। পরে সামরিক ফরমান বলে প্রণীত দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ, ১৯৭৮ দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারক পদ থেকে অবসর-পরবর্তী বিচারিক ও আধা বিচারিক পদে নিয়োগ এবং হাইকোর্ট বিভাগ থেকে অবসর-পরবর্তী আপিল বিভাগে ওকালতি করার জন্য যোগ্য করা হয়। দ্বিতীয় ঘোষণাপত্র (পঞ্চদশ সংশোধন) আদেশ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী দিয়ে অনুমোদিত হয়। অতঃপর সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও উপদেষ্টা পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য করা হয়। উচ্চাদালতের আপিল বিভাগে পঞ্চম ও ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা-পরবর্তী পঞ্চদশ সংশোধনী প্রণয়নকালে দেখা যায়, পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধা অক্ষুণ্ন রেখে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে প্রদত্ত সুবিধা রহিত করা হয়।
একটি স্বাধীন দেশের সাধারণ জনমানুষের অভিপ্রায়ে যে লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সংবিধানে রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গের অন্যতম বিচার বিভাগসংক্রান্ত সপ্তম অনুচ্ছেদ সন্নিবেশিত হয়েছিল, বিভিন্ন সংশোধনীর কারণে তা আজ ব্যাহত। গতিশীল সমাজে আইন পরিবর্তনশীল এবং সে পরিবর্তন অবশ্যই সময় ও যুগের চাহিদা অনুযায়ী নির্ধারিত হওয়া কাম্য। এরূপ নির্ধারণের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগ ও সংসদের সংশ্লিষ্ট স্থায়ী কমিটির সাথে সংবিধান ও আইন বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের মতবিনিময় দেশ ও জাতির জন্য স্বস্তিদায়ক হয়ে সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার পথ সুগম করবে।
লেখক : সাবেক জজ, সংবিধান, রাজনীতি ও অর্থনীতি বিশ্লেষক
iktederahmed@yahoo.com