উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সমাজতন্ত্র কার্যকর চেতনা: তথ্যমন্ত্রী

0
438
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজতন্ত্রকে শান্তি ও উন্নয়নের সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছাতে সবচেয়ে কার্যকর চেতনা বলে বর্ণনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। তিনি বলেছেন, একারণেই সংবিধানে সমাজতন্ত্র জাতীয় চার মূলনীতির অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে মুক্তিযুদ্ধে গেরিলা প্রশিক্ষক ও সমাজতান্ত্রিক নেতা আ ফ ম মাহবুবুল হকের শোকসভায় মন্ত্রী একথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, সমাজতন্ত্র যেমন চাষী-শ্রমিক-মজুরদের গণতন্ত্রে অংশ নিতে শেখায়, তেমনি জংঙ্গিবাদ, দুর্নীতি ও বৈষম্য দূর করার সংগ্রামকেও এগিয়ে নেয়। তাই সমৃদ্ধির সুফল প্রতিঘরে পৌঁছাতে এটি সবচেয়ে কার্যকর পথ।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আ ফ ম মাহবুবুল হক ছিলেন সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য সামনে রেখে মুক্তিযুদ্ধসহ সব জাতীয় ও গগণতান্ত্রিক সংগ্রামে অংশ নেবার মৃত্যুঞ্জয়ী উদাহরণ। রাজনীতিতে তার আপোষহীন লড়াই এ দেশের বামপন্থী নেতাদের পথ দেখাবে।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আব্দুর রবসহ বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, সমাজতান্ত্রিক রাজনীতিক ও গবেষকগণ সভায় বক্তব্য রাখেন।
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে আ ফ ম মাহবুবুল হক গত ১০ নভেম্বর কানাডার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৯ বছর। ১৯৬৭-৬৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগ সূর্য সেন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ১৯৬৮-৬৯ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য, ১৯৬৯-৭০ সালে কেন্দ্রীয় সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে বিএলএফ’র অন্যতম প্রশিক্ষক ও পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৭৩-৭৮ পর্যন্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। পরে ১৯৭৮-৮০ সালে জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ১৯৮০ সালের শেষের দিকে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হন। ১৯৮৩ সালে বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক নিযুক্ত হন।