একতরফা নির্বাচনে যাবে না বিএনপি: মির্জা ফখরুল

0
542
blank

ঢাকা: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার না হলে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ফিরে আসবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ সময় তিনি জানান, একতরফা কোনো নির্বাচনে যাবে না তাঁর দল। নির্বাচনকালীন সহায়ক সরকার নিয়ে সংলাপে বসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। বুধবার রাজধানীতে দুটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়ে মির্জা ফখরুল এসব কথা বলেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) একাংশের আয়োজনে এবং ২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টি আয়োজিত অন্য এক অনুষ্ঠানে ফখরুল অংশ নেন।
বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সভায় বক্তারা অভিযোগ করেন, বিভিন্ন ধরনের চাপ প্রয়োগ করে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করছে সরকার। স্বাধীন গণমাধ্যমের জন্য ৫৭ ধারাসহ সব কালাকানুন বাতিলের দাবি তোলেন তাঁরা।
অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেই গণমাধ্যমের ওপর আঘাত করে; এ অবস্থা থেকে উত্তরণে প্রয়োজন রাজনৈতিক পরিবর্তন।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘বাংলাদেশে আজকে কোনোকিছুরই স্বাধীনতা নেই। না আছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, না আছে রাজনৈতিক স্বাধীনতা, না আছে অর্থনৈতিক স্বাধীনতা। এখানে সবকিছুই আজকে বিশেষ গোষ্ঠীর হাতে চলে গেছে, এটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ গোষ্ঠী। জনগণকে সঙ্গে নিয়েই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা আমাদের অধিকারগুলোকে ফিরিয়ে আনতে পারি। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোনোকিছুই অর্জিত হবে না, যদি আমরা রাষ্ট্রে গণতান্ত্রিক অধিকার অর্জন করতে না পারি।’
২০ দলীয় জোটের শরিক কল্যাণ পার্টি আয়োজিত অন্য এক অনুষ্ঠানে নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা শুরু করার আহ্বান জানান বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচন কী করবেন, আপনারা রেফারি, লাইন্সম্যানসহ সুন্দরভাবে খেলবেন আর আমাদেরকে খেলতে দেবেন না, একতরফা গোল দিয়ে যাবেন, ওইখানেই খেলা হবে। এই খেলা হবে না। একতরফা খেলা হবে না। একটা সহায়ক সরকার প্রয়োজন হবে নির্বাচনকালীন সময়ে। কীভাবে হবে, সেটাও আলোচনা করি। কিন্তু তাও করবেন না। কারণ, আপনারা জানেন, ওইভাবে নির্বাচন হবে না। কারণ, নির্বাচন দিলেই আপনারা পরাজিত হবেন।’
ক্ষমতা হারালে টাকা নিয়ে পালাতে হবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের এমন বক্তব্যের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এ থেকেই বোঝা যায় সম্পদ লুট করে দেশ ধ্বংস করছে সরকার।