এভাবে গ্রেফতার মানবাধিকার লঙ্ঘন

0
735
blank
blank

কাজী রিয়াজুল হক: তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বেড়েই চলেছে। তুচ্ছ কারণে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধেই এই আইনে মামলা হচ্ছে বেশি। খুলনায় এক প্রতিমন্ত্রীর বিতরণ করা ছাগলের একটি মারা গেছে বলে প্রকাশিত খবর ফেসবুকে শেয়ারের জন্য সোমবার এক সাংবাদিককে গ্রেফতারের ঘটনায় সারাদেশ তোলপাড়। এ ব্যাপারে মত দিয়েছেন তিন বিশিষ্টজন

বহুল আলোচিত তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হলে সাংবাদিক, শিক্ষকসহ বিভিন্ন নাগরিকের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হবে।

খুলনার ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ এক ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিককে যেভাবে গ্রেফতার করা হলো, তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের শামিল। এটা পুলিশ হয়তো না করলেও পারত। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ থাকল।

প্রতিটি নাগরিকের মানবাধিকার সংরক্ষণ করা রাষ্ট্র্রের দায়িত্ব। আইনের ফাঁক-ফোকরে কোনো নাগরিকের মানবাধিকার যেন লঙ্ঘিত না হয়, সেদিকে রাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সদস্যদেরকে লক্ষ্য রাখতে হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দের দান করা ছাগল মরে যাওয়ার খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করায় খুলনার স্থানীয় এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করা হলো। পুলিশ রাতেই তাকে গ্রেফতার করল। এভাবে গ্রেফতার করার কী প্রয়োজন ছিল? যেটা করা হয়েছে তাতে আইনের অপপ্রয়োগ হয়েছে বলে প্রতীয়মান এবং এতে আটক ব্যক্তির মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।

খুলনার ওই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আগেই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অভিযোগের সত্যতা ও বস্তুনিষ্ঠতা সম্পর্কে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন ছিল। কোনো নাগরিক যেন অযথা হয়রানির শিকার না হন_ সেদিকে রাষ্ট্রকে আরও সতর্ক থাকতে হবে।

প্রতিটি মানুষের বেঁচে থাকার অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠানকে মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যাপারে যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করার জন্য আহ্বান জানানো হলো।

কাজী রিয়াজুল হক :মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান