বিশেষ সংবাদদাতা: জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি বলেছেন, গত কয়েকদিন ধরে সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা এবং জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থা সার্বিকভাবে অপরিবর্তিত আছে। তাকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। তিনি চোখ মেলতে চেষ্টা করেছেন। কোন কোন ক্ষেত্রে শরীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে, আবার কোন কোন ক্ষেত্রে অবনতি হয়েছে। এভাবে ৭-৮ দিন থাকলে পল্লীবন্ধুর শারীরিক অবস্থা ধীরে ধীরে উন্নতির আশা করছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী অফিসে তিনি এরশাদের শারীরিক অবস্থা গণমাধ্যম কর্মীদের জানান। এসময় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস.এম. আব্দুল মান্নান, সুনীল শুভরায়, এস.এম. ফয়সল চিশতী, আজম খান, এটিইউ তাজ রহমান, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, এ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, আলমগীর সিকদার লোটন, উপদেষ্টা সেলিম উদ্দিন, ড. নুরুল আজহার, মাহমুদুর রহমান মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, শফিকুল ইসলাম শফিক, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম ওমর, হাসিবুল ইসলাম জয়, ইসাহাক ভূঁইয়া, ফখরুল আহসান শাহজাদা, সুলতান মাহমুদ, শাহজাহান মনসুর, এম.এ. রাজ্জাক খান, আবু সাঈদ স্বপন, আহাদ চৌধুরী শাহীন, ছাত্রসমাজের ফয়সাল দিদার দীপু উপস্থিত ছিলেন।

জিএম কাদের বলেন, রক্তচাপ এবং অক্সিজেন গ্রহণ স্বাভাবিক আছে, ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে। কিন্তু কিডনী পুরোপুরি কাজ না করায় পল্লীবন্ধুকে ডায়ালাইসিস দেয়া হচ্ছে। হেমো ডায়া ফিল্টারেশনের মাধ্যমে তার রক্তের বর্জ বের করা হচ্ছে এবং হেমো ডায়া পারফিউশনের মাধ্যমে তার সংক্রমণ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সিঙ্গাপুরের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এমন শারীরিক অবস্থায় বিদেশে নেয়া ঝুকিপূর্ণ মনে করেছেন। এছাড়া সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা বোর্ড গঠন করে এবং বিদেশী বিশেষজ্ঞদের সাথে আলোচনা করে তার চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিএমএইচ-এর চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, সিএমএইচ-এ এরশাদের বিশ্বমানের চিকিৎসা চলছে।

এ সময় জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবং সংসদে বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রোগমুক্তি এবং সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেন।
এদিকে, গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব মোহাম্মদ জাহাঙ্গীদের মৃত্যুতে শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন জিএম কাদের।