এরশাদের রাডার ক্রয় মামলা: ৩১ মার্চের মধ্যে বিচারকাজ শেষের নির্দেশ

0
432
blank

ঢাকা: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের বিরুদ্ধে করা বিমানের রাডার ক্রয়সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা না নেওয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়ার অনুমতি পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন। বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জে বি এম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত ৩১ মার্চের মধ্যে এই মামলার বিচারকাজ শেষ করতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম খান।
দুদকের করা এই আবেদনের ওপর গতকাল বুধবার শুনানি শেষে আদালত আজ আদেশের দিন রেখেছিলেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, শহীদুল ইসলাম খান। আদেশের বিষয়টি জানিয়ে শহীদুল ইসলাম খান বলেন, না নেওয়া সাক্ষীদের সাক্ষ্য নিতে দুদকের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আইনজীবী সূত্র জানায়, যুক্তিতর্ক পর্যায়ে থাকা এই মামলার অভিযোগপত্রে প্রসিকিউশন (দুদক) পক্ষে সাক্ষী হিসেবে ছিল ৩৮ জন। এর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। পরে সাক্ষী সমাপ্ত করে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু হয়। এ অবস্থায় বাকিদের সাক্ষী নেওয়ার জন্য যুক্তিতর্ক পর্যায় থেকে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে নিয়ে আসতে বিচারিক আদালতে আবেদন করে দুদক। এই আবেদন ৭ নভেম্বর বিচারিক আদালতে খারিজ হয়। এ আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে গত রোববার রিভিশন আবেদন করে দুদক। গতকাল বুধবার এর ওপর শুনানি হয়।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো এ মামলা করে। এতে অভিযোগ করা হয়, এরশাদসহ অপর আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আর্থিক সুবিধা নিয়ে থমসন সিএসএফ কোম্পানির রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কেনেন। এতে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়। তদন্ত শেষে ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে এরশাদসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। অন্য আসামিরা হলেন, বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সুলতান মাহমুদ ও ইউনাইটেড ট্রেডার্সের পরিচালক এ কে এম মুসা।