এশিয়ার সেরা দল বাংলাদেশ

0
489
blank
blank

ঢাকা: সাফল্যের সোনায় মোড়ানো বছর শুরু হয় বিশ্বকাপ থেকে। বিশ্বমঞ্চে প্রথমবারের মতো কোয়ার্টার ফাইনাল খেলে নিজেদের আধিপত্যের প্রভাব বিস্তারের ঘোষণা দেন মাশরাফি বাহিনী। যার প্রভাব বছরের শেষ অবধি অব্যাহত রেখেছে দলটি। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে ভারত, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তানের মত দলকে টপকে সফল দলের তালিকায় এশিয়ায় শীর্ষ স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। হার দিয়ে বছরের শুরুটা করলেও ক্রিকেটের সর্বোচ্চ আসর বিশ্বকাপে নিজেদের ফিরে পেতে শুরু করে বাংলাদেশ। আফগানিস্তান, স্কটল্যান্ড, ইংল্যান্ডের মত পরাশক্তিকে হারিয়ে জায়গা করে নেয় কোয়ার্টার ফাইনালে। তবে কোয়ার্টার ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে আম্পায়ারদের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নের ইতি ঘটে।

বিশ্বকাপের বিস্ময় হয়েই শেষ না। মাশরাফির দল এরপর দেশের মাটিতে দৈত্যবধ করে পর পর। পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ, ভারতের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ নিশ্চিত এবং দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে প্রথম ম্যাচ হেরেও সিরিজ জয়-অকল্পনীয় বললেও ভুল হয় না। এরই ধারাবাহিকতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের জয় বড্ড অনুমেয়; একেবারে প্রত্যাশিত। সব মিলিয়ে এ বছর খেলা ১৮টি ওয়ানডের মধ্যে ১৩টিতেই জয় পায় বাংলাদেশ। জয়ের অনুপাত শতকরা ৭২ ভাগ। দ্বিতীয় স্থানে আছে ভারত। ২৩ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১৩ ম্যাচে জয় পায় ধোনি বাহিনী। জয়ের হার শতকরা ৫৬ ভাগ।

তৃতীয় স্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। ২২ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১১ ম্যাচে জয় পায় ম্যাথুজ বাহিনী। জয়ের হার শতকরা ৫০ ভাগ। আর সবশেষে অবস্থান পাকিস্তানের। ২৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে ১২ ম্যাচে জয় পায় আজাহার-হাফিজরা। জয়ের হার শতকরা ৪৪ ভাগ।

২০১৫ সাল দুই হাত ভরে দিয়ে গেল বাংলাদেশকে। এ বছরটা দারুণ স্মরণীয় হয়ে থাকবে দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে। এর আগে এত সাফল্যের দেখা কখনো পায়নি মাশরাফিরা। এতো আনন্দে ভাসেনি এ দেশের ক্রিকেট পাগল সমর্থকরা।