ঐক্যপরিষদের অভিযোগ: আওয়ামী লীগ নেতারা হিন্দুদের সম্পদ দখল করছে

0
572
blank
blank

বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সম্পদ দখল করেছে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা। এমন অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খিস্ট্রান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এক্ষেত্রে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তার বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন ইন্ডিয়া টুডে। এতে বলা হয়, শুক্রবার তিনি পরিষদের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন পিরোজপুরে। জেলার রাজারহাটে রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন।
এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রানা দাশগুপ্ত ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও আইনজীবী চন্ডিচরণ পাল। এতে রানা দাশগুপ্ত বলেন, বিভিন্ন এমপি ও মন্ত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশের হিন্দুদের সম্পদ দখলের সঙ্গে জড়িত ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা। তিনি আরো বলেন, এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আমরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চাই। তার ভাষায়, আমরা ১৯৫৪ সালের আওয়ামী মুসলিম লীগ দেখতে চাই না। আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ১৯৭১ সালের বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাষ্ট্রের নাকের ডগায় ১৯৯১ সাল থেকে হিন্দুদের বিরুদ্ধে নিষ্পেষণ চলছে। সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের কেউই এসব ঘটনায় বিচারের আলো দেখতে পাননি। হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় বিচারপতি শাহাবুদ্দিন কমিশনের সুপারিশের বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রানা দাশগুপ্ত বলেন, রংপুর জেলার ঠাকুরপাড়ার ঘটনায় জড়িত আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতারা। উল্লেখ্য, সম্প্রতি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে, ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করে ১০ই নভেম্বরে পোস্ট দিয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের এক যুবক। এতে ক্ষোভ দেখা দেয়। বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের হিন্দুদের কমপক্ষে ৩০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। রানা দাশগুপ্ত বলেন, শুধু রংপুরেই নয়, আওয়ামী লীগের নেতারা কক্সবাজারে বৌদ্ধমন্দিরে হামলার সঙ্গেও যুক্ত। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হিন্দু এলাকায় হামলার জন্যও তারা দায়ী। হামলাকারীরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী বললেও তারা তাদের হৃদয়ে তা ধারণ করে না। তাই যেসব নেতা সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন করেন, তাদের ভূমি কেড়ে নেন তাদেরকে আর ভোট দেবে না হিন্দুরা। কারণ, আমরা নির্যাতিত হই, কোনো রাজননৈতিক নেতা বা পুলিশকে আমাদের পাশে পাই না।