কবি এম এ আসাদ চৌধুরী’র ‘কবিতার জন্য ভালোবাসা’ কবিতাগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত

0
995
blank

স্টাফ রিপোর্টার: কবি এম এ আসাদ চৌধুরী’র ‘কবিতার জন্য ভালোবাসা’ কবিতাগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার হলদিপুর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে এ কবিতাগ্রন্থের প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য এডভোকেট মাওলানা শাহিনুর পাশা চৌধুরী। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, আমাদের সমাজে অনেক লাঞ্চিত ও বঞ্চিত মানুষ রয়েছে। তাদের কথা কবি সাহিত্যিকেরা খুড়ধার লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরেন। এতে করে সমাজের অনেক কল্যাণ সাধিত হয়। একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সমাজের ভুলগুলো মানুষের চোখে আঙ্গুল ধরিয়ে দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। কবি এম এ আসাদ চৌধুরী তার কবিতায় সেইসব নিপিড়িত মানুষের কথা বলেছেন।

আলোর দিশারী সমাজ কল্যাণ সংস্থার উদ্যোগে আয়োজিত সভায় ৫নং হলদিপুর ইউ/পি সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন গল্পকার ও সাংবাদিক সেলিম আউয়াল। সাংবাদিক সৈয়দ উবায়দুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি এম এ আসাদ চৌধুরী’র গর্বিত পিতা আলী আছগর চৌধুরী, বাংলাদেশ কবি সভা, সিলেট জেলা শাখার সভাপতি কবি সিদ্দিক আহমদ, আনোয়ার ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট, ইউকের চেয়ারম্যান কবি আলী মেরাজ মোস্তাক, জামেয়া দারুল উলুম সিলেট-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী, সিলেট ক্যামব্রিয়ান কলেজ-এর অধ্যক্ষ শিব্বির আহমদ ওসমানী, বাংলাদেশ কবি সভা, সিলেট জেলা শাখার সহ সভাপতি কবি বিনিয়ামিন রাসেল। মুহাম্মদ মারজান আহমদের পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রবীন রাজনীতিবিদ শহিদুল ইসলাম বকুল, বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক আলতাব আলী, জামেয়া জিন্নুরাইন সিলেট-এর প্রিন্সিপাল মাওলানা জাহিদ উদ্দিন চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী ও রাজনীতিবিদ মাওলানা এম বেলাল আহমদ চৌধুরী, শিক্ষানুরাগী ও সংগঠক মাওলানা মিজানুর রহমান মামুন, আফসর আলম কোরেশী প্রমুখ।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে গল্পকার সেলিম আউয়াল বলেন, হাওরের অঞ্চলে কবি এম এ আসাদ চৌধুরীর জন্ম। এই অঞ্চলে সাহিত্য সংস্কৃতির অনেক দিকপালরা জন্মগ্রহণ করেছেন। আশা করি তাদের ধারাবাহিকতা এই কবি তার লেখনীর মাধ্যমে বজায় রাখবেন। এই বইয়ের লেখক একজন আলেম। তিনি মানুষের কল্যাণের কথা বলবেন। অসত্যের সামনে কখনো মাথা নত করবেননা।

অনুভুতি ব্যক্ত করতে গিয়ে কবি বলেন, আমার এই কাব্যগ্রন্থ পাঠ করে কেউ যদি সামান্যতম উপকৃত হন সেটাই হবে আমার পরম পাওয়া। মানুষের কল্যাণে আমি আজীবন লিখে যেতে চাই। সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
বক্তারা বলেন, কবিদের হৃদয় খুব কোমল হয়। ইচ্ছে করলেই কেউ একজন কবি হতে পারেনা বরং ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হওয়া যায়। কবিতা লেখার শক্তি সেটা আল্লাহর দেয়া প্রতিভা। এটাকে চর্চার মাধ্যমে লালন করতে হবে। কবি এম এ আসাদ চৌধুরীর কবি জীবনে সফলতা কামনা করি।

সভাপতির বক্তব্যে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী বলেন, আমাদের সমাজে অনেক প্রতিভাবান কবি সাহিত্যিক রয়েছেন। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে তারা সামনে এগিয়ে যেতে পারছেননা। আমরা যদি তাদেরকে সহযোগীতা করি তাহলে সমাজের জন্য তারা অনেক উপকার বয়ে আনবে।