কর্মসূচির জন্য অনুমতি চেয়েছে বিএনপি: রিজভী

0
442
blank

বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে ঘোষিত ৫ই জুলাইয়ের বিক্ষোভ সমাবেশ ও ৯ই জুলাইয়ের অনশন কর্মসূচি পালন করতে পুলিশের অনুমতি চেয়েছে বিএনপি। অনুমতির চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র বরাবর আবেদনপত্র জমা দিয়েছে দলটি। বিক্ষোভ সমাবেশের দিন বিকাল তিনটায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের সমবেত হওয়ার প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশনাও দেয়া হয়েছে। আর বিএনপির প্রতীকী অনশন কর্মসূচি চলবে ৯ই জুলাই সকাল ৯টা থেকে চারটা পর্যন্ত। রমনায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স ও মহানগর নাট্যমঞ্চ কর্তৃৃপক্ষের কাছেও আবেদন করা হয়েছে। যেখানে অনুমতি পাওয়া যাবে, সেখানেই প্রতীকী অনশন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।

গতকাল দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এসব কথা জানান। তিনি বলেন, আলিয়া মাদরাসা মাঠের ক্যাঙ্গারু কোর্টে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে খালেদা জিয়াকে। বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লায় দায়ের করা ‘মিথ্যা’ মামলায় হাইকোর্টের দেয়া জামিন আপিল বিভাগ স্থগিত করেছেন, যা নজিরবিহীন। সর্বোচ্চ আদালতে জামিন স্থগিত হওয়ার ঘটনাটি সম্পূর্ণভাবে ‘সরকার নির্দেশিত’। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিঘাংসার শিকার। রিজভী বলেন, আদালতের উচ্চপর্যায়ে ভুক্তভোগী মানুষ প্রতিকার পায়। অবৈধ সরকার নিম্ন আদালতকে সম্পূর্ণভাবে কব্জায় নিয়ে এখন সর্বোচ্চ আদালতকেও হাতের মুঠোয় নিয়েছে কিনা, সেটি নিয়ে জনগণের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। শেখ হাসিনা জোর করে ক্ষমতায় আছেন বলেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের উদ্দেশে রিজভী বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ওয়ান ইলেভেন সরকারের দায়ের করা ১৫টি মামলা ক্ষমতার জোরে প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনাতে কি বিচারের বাণী খুশিতে আনন্দ উল্লাস শুরু করেছিল? রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা সর্বোচ্চ আদালতকে সরকারের মুখপাত্রে পরিণত করার বন্দোবস্ত করছেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।