কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন এস কে সিনহা

0
603
blank
blank

কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা ও তার স্ত্রী সুষমা সিনহা। ঐ দেশটির বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবরটি বেরিয়েছে। কানাডার দি স্টার পত্রিকার খবরে জানানো হয়, গত ৪ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফোর্ট এরি সীমান্ত হয়ে সিনহা কানাডায় প্রবেশ করেন এবং সেখানে তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন জমা দেন। কানাডায় করা রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদনে সাবেক প্রধান বিচারপতি ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে সরকারের সঙ্গে টানাপোড়েনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন বলে জানিয়েছে পত্রিকাটি। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে আবেদন করেছিলেন এস কে সিনহা। নিউ জার্সিতে ছোটো ভাই অনন্ত কুমার সিনহার নামে কেনা একটি বাড়িতেই তিনি অবস্থান করছিলেন।

এদিকে দি স্টারকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এস কে সিনহা বলেন, আমাকে টার্গেট করা হয়েছে; কারণ বিচারক হিসেবে আমি ছিলাম একজন অ্যাকটিভিস্ট। আমি যেসব রায় দিয়েছি তাতে আমলাতন্ত্র, প্রশাসন, রাজনীতিবিদ, এমনকি সন্ত্রাসীরাও ক্ষিপ্ত হয়েছে। আমি এখন নিজের দেশেই অবাঞ্ছিত। এস কে সিনহার অভিযোগের বিষয়ে কানাডায় বাংলাদেশ হাইকমিশনারের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিল দি স্টার। হাইকমিশনার মিজানুর রহমান তাদের বলেন, দেশ ছাড়ার পর থেকেই তিনি (সিনহা) সরকার সম্পর্কে এ ধরনের বক্তব্য দিয়ে আসছেন, যেগুলো সঠিক নয়। তার দেশে ফেরার ক্ষেত্রেও কোনো বাধা বা হুমকি নেই। তিনি এসব কথা বলছেন শুধু তার রাজনৈতিক আশ্রয়ের দাবি পোক্ত করার জন্য।

২০১৭ সালের অক্টোবরের শুরুতে ছুটিতে যান তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা। পরে বিদেশ থেকেই তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন। তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের একটি মামলা করেছে দুদক। এতে বিচারপতি সিনহা ছাড়াও আরো ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে ফারমার্স ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি করে ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।

[ইত্তেফাক]