কারাগারে খালেদা জিয়ার কক্ষে কোনো সুস্থ মানুষের থাকা সম্ভব নয়: খন্দকার মাহবুব

0
436
blank

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম প্রধান আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়াকে একটি পরিত্যক্ত জনমানব শূন্য বাড়িতে রাখা হয়েছে একজন সাধারণ কয়েদি হিসেবে। যদিও জেল কোড অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান বিরোধী দলের নেত্রী হিসেবে তিনি ডিভিশন ওয়ান পাওয়ার যোগ্য।

তিনি বলেন, আমি স্বচোখে যেটা দেখেছি; সেটা হলো- সেখানে বিশেষ জেল হিসেবে খালেদা জিয়াকে রাখা হয়েছে। সেখানে কোনো সুস্থ মানুষের পক্ষে থাকা সম্ভব নয়। কেননা ওটা একটি জনমানব শূন্য পরিত্যক্ত বাড়ি।

গতকাল শনিবার বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী হিসেবে পাঁচ আইনজীবী সাথে রাজধানীর নাজিমুদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে তার সাথে দেখা করেন খন্দকার মাহবুব হোসেন।

আজ সুপ্রিম কোর্ট বার ভবনস্থ চেম্বারে খালেদা জিয়া কেমন আছেন জানতে চাইলে নয়া দিগন্তকে খন্দকার মাহবুব হোসেন একথা বলেন।

তিনি বলেন, সাক্ষাতের সময় তার শারীরিক অবস্থা চমৎকার ছিল।

খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা সেখানে উপস্থিত জেলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি আমাদের বলেছেন, যেহেতু সরকারের কোনো নির্দেশ নেই এজন্য খালেদা জিয়াকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। সেখানে অন্য কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে তারা অপারোগ।

খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, জেল কোড অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষ তাকে ডিভিশন দিতে পারেন। এ প্রশ্নের জবাবে ওই জেলার বলেন, ২০০৬ সালে সংশোধনী জেল কোড তারা জ্ঞাত ছিলেন না বলে তারা কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়াকে একটি বিশেষ ব্যবস্থাপনায় সরকারের বিভিন্ন সংস্থার নজরদারিতে সেখানে রাখা হয়েছে। সেখানে ডিভিশন ওয়ান এর সুযোগ সুবিধা দেয়া সম্ভব নয়। জেল কোড অনুযায়ী তাকে তার নিজস্ব ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা এবং নিজস্ব সুবিধা দেয়ার কথা। সরকার বাইরে এ ব্যাপারে বললেও তার নিজস্ব সেবিকা ফাতেমাকে এখনো দেয়া হয়নি। তার চিকিৎসার জন্যও বিশেষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

মামলার রায় সম্পর্কে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দণ্ডবিধির ৪০৯ ধারায় তাকে সাজা দেয়া অন্যায় হয়েছে। এজন্য আমরা আপিল মঞ্জুরের এবং জামিনের আবেদন করব। এজন্য আমরা আশা করব দ্রুত রায়ের কপি পাব। তবে এখনো রায়ের কপি পাওয়া যায়নি। কিন্তু তাকে বেশিদিন জেলে রাখার জন্য সরকার দীর্ঘ প্রক্রিয়া করলে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদেরকে তো জেল জুলুম করার জন্য মামলা দেয়া হয়েছে।