কাশ্মীরকে ভাগ ভারতের অভ্যন্তরিণ বিষয় হলেও রাজনৈতিক অভিঘাত আছে

0
498
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, কাশ্মীরের সাংবিধানিক মর্যাদা পাল্টিয়ে দেয়া ও কাশ্মীর রাজ্যকে ভাগ করার বিষয়টি সম্পূর্ণ ভারতের অভ্যন্তরিণ বিষয় হলেও, এই অঞ্চলে এ পরিস্থিতির এক গভীর ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক অভিঘাত আছে। তবে বাংলাদেশের মানুষ কাশ্মীর জনগণের ইচ্ছানুসারে কাশ্মীরের সমস্য শান্তিুপূর্ণ সমাধান চেয়েছে বরাবর।

শুক্রবার পলিটব্যুরোর পক্ষ থেকে বিবৃতিতে একথা বলা হয়। বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি কাশ্মীরের সম্প্রতি পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগের সাথে পর্যবেক্ষণ করছে। সংবাদপত্র সূত্র অনুযায়ী কাশ্মীর সম্পর্কিত গৃহীত ব্যবস্থার পর কাশ্মীর কার্যত অবরুদ্ধ ও বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে। কাশ্মীরের নেতৃবৃন্দ অন্তরীণ অথবা কারারুদ্ধ। আজ ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্কসবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি ও ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি সাধারণ সম্পাদক ডি. রাজা কাশ্মীরে বিধায়ক ইউসুফের খোঁজ নিতে শ্রীনগর বিমানবন্দরে পৌঁছালে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসবই এইদেশের গণতান্ত্রিক শক্তি সমূহের উদ্বিগ্ন না করে পারে না।
বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি আশা করে কাশ্মীরের জনগণের আঙ্খকা অনুযায়ী আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্য শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে, আঞ্চলিক উত্তেজনার প্রশমন ঘটবে এবং সিপিএম ও সিপিআই নেতৃবৃন্দসহ সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়া হবে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে এই অঞ্চলে দুইটি যুদ্ধ হয়েছে এবং কাশ্মীর প্রশ্নে এ অঞ্চলে শান্তি স্থিতিশীলতা সহযোগিতা প্রধান বাঁধা হিসাবে রয়েছে। পাকিস্তানের সহায়তায় কাশ্মীরে জিহাদী ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রম ভারতের নিরাপত্তাকেও বার বার বিঘ্নিত করেছে। পাকিস্তান আমলেও বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বিভ্রান্ত করতে পাকিস্তান শাসকেরা কাশ্মীর ইস্যুকে ব্যবহার করেছে। বর্তমানেও এই ঘটনার ফলে বাংলাদেশসহ এই অঞ্চলে জিহাদী ও জঙ্গিবাদী কার্যক্রম বিস্তৃত হবার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে।

উল্লেখ্য যে, বাংলাদেশের ওযার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এবং সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা। দলটি আওয়ামী লীগের সাথে জোটবদ্ধ।