কোটা সংস্কার নিয়ে সরকার কাজ করছে: ওবায়দুল কাদের

0
529
blank
blank

ঢাকা : কোটা সংস্কার নিয়ে সরকার কাজ করছে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোটা নিয়ে সরকার কাজ করছে। এতে সরকারের আন্তরিকতার ঘাটতি নেই। তার জন্য সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। এ নিয়ে নতুন করে আন্দোলনের কিছু নেই। সোমবার রাজধানীর সেতুভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

কোটা আন্দোলনে বিএনপি সুবিধা নিতে চেয়েছে এমন অভিযোগ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, তাই তারা আন্দোলনে উসকানি দিয়েছে। তারেক রহমান লন্ডন থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক নেতার সঙ্গে ফোনে কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলেছেন। এতে প্রমাণ হয় আন্দোলনে কারা মদদ দিচ্ছে।

‘আন্দোলন ছাড়া বিএনপি নেত্রীকে জেল থেকে বের করা সম্ভব নয়’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মারার আন্দোলন করে ব্যর্থ হয়েছে। জনগণকে সম্পৃক্ত করে আন্দোলন করতে গিয়েও তার বাার বার ব্যর্থ হয়েছে। আন্দোলন করার মতো জনসমর্থন তাদের নেই, তাই তারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের ওপর ভর করেছে। যদি আন্দোলনের কোনো ইস্যু পিকআপ করা যায়, এটাই তাদের দুরভিসন্ধি। দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান (তারেক রহমান) কোটা সংস্কারের অন্দোলনে জড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষককে ফোন দিয়েছিলেন এটা সবারই জানা।

‘বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়’ বিএনপি নেতাদের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষ এখন ইলেকশনের মুডে আছে। এ সময়ে বেগম জিয়া বা তার মুক্তি নিয়ে কারো মাথা ব্যথা আছে মনে হয় না। এটা বিএনপির থাকতে পারে। আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পেলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। এর বাইরে তাকে মুক্ত করার অন্য কোনো পথ আমাদের জানা নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, কোটা আন্দোলনের সময় ভিসির বাড়িতে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে তা পুরোপুরি জঙ্গি স্টাইলে হয়েছে। কিন্তু পুরো আন্দোলন জঙ্গিবাদের বহিঃপ্রকাশ বলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে ঢালাওভাবে আমি একমত নই।

‘ভারত বিএনপিকে পাত্তা দেবে না’ ভারতের একটি পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাত্কারে এইচ টি ইমামের এমন বক্তব্যের বিষয়ে তিনি বলেন, এইচ টি ইমাম সাহেব সম্পর্কে মিডিয়ায় যে খবর এসেছে সেটা আমি তার সঙ্গে আলাপ করে চেক করার সুযোগটা পাইনি। কারণ তিনি নয়াদিল্লি থেকে বেলজিয়ামে ব্রাসেলস এ ইউরোপিয়ান পর্লামেন্টের একটা প্রোগ্রামে গেছেন বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে। ব্রাসেলস এ আছেন। তিনি (ইমাম) বলেছেন কি না সেটা আমাকে কনফার্ম হতে হবে।…বিষয়টা তার কাছে চেক না করে কোন কমেন্ট করা উচিত না। তবে এইচটি ইমাম যদি এমন কথা বলে থাকেন তাহলে তিনি ঠিক বলেননি। ভারত কাকে পাত্তা দেবে আর কাকে দেবে না তাতে আমাদের কিছুই যায় আসে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।