কোরবানির ছাগল ছিনতাইচেষ্টার মামলায় আসামি ছাত্রলীগ সভাপতি!

0
643
blank
blank

ঢাকা: ছাগল ছিনতাইয়ের চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হয়েছে।

অভিযুক্তদের সবাই ক্ষমতাসীন দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

একটি বা দুটি নয় ২১২টি ছাগল ছিনতাইয়ের অভিযোগে ছাত্রলীগ সভাপতিসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ছাগল ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।

অভিযুক্তরা হলেন, মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না, ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম, মো. রায়হানসহ আরও পাঁচজন।

এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. শরীফুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, কোরবানি ঈদের জন্য বিক্রি করতে গত ১১ আগস্ট একদল ব্যবসায়ী যশোরের বারোবাজার পশুরহাট ও ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ২১২টি ছোটবড় ছাগল ট্রাকযোগে ঢাকায় নিয়ে আসেন।

ছাগলসহ ট্রাকটি ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাবর রোডের জহুরি মহল্লা এলাকায় এলে তাদের আটক করে চাঁদার দাবি করে স্থানীয় ছাত্রলীগের কয়েকজন কর্মী।

বাদানুবাদের একসময় ছাগলগুলোকে ট্রাক থেকে নামিয়ে একটি ক্লাব ঘরে ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ও তার চার সহযোগীকে আটকে রাখেন অভিযুক্তরা।

এ সময় র‍্যাব-২ এর একটি টহল দল ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছিল। তারা স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়ে আটক ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করে।

এর পর ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা ইয়াসির আরাফাত, জাহিদুল ইসলাম ও মো. রায়হান এই তিন ছিনতাইকারীকে শনাক্ত করেন।

র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, এ ছিনতাই ঘটনায় মূল হোতা ছিলেন মোহাম্মদপুর থানার ছাত্রলীগ সভাপতি মুজাহিদ আজমী তান্না। এছাড়াও আরও পাঁচজনের নাম জানায় তারা।

মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (অপারেশন্স) মো. শরীফুল ইসলাম বলেন, অভিযুক্তরা বেশ কিছুদিন ধরে লাইসেন্স ছাড়া অবৈধভাবে ওয়াকিটকি ব্যবহার করে নিজেদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন এবং এলাকায় চাঁদাবাজি করে আসছিলেন।

এই ঘটনায় টেলিযোগাযোগ আইনে চাঁদাবাজির অভিযোগেও একটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।