ক্ষমতালোভীরা ধর্মের অপব্যবহার করে মানুষকে বঞ্চিত করছে: ড. কামাল

0
631
blank
blank

স্বাধীনতা ধরে রাখতে সম্প্রীতির মূল্যবোধ ছড়িয়ে দেয়ার তাগিদ দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন।বলেছেন, ক্ষমতালোভীরা ধর্মের অপব্যবহার করে মানুষকে বঞ্চিত করছে।এটি বন্ধ করতে হবে। জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সোমবার দুপুরে এক সংহতি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে বন্দুকধারীর হামলায় নিহতদের প্রতি শোক ও সংহতি জানাতে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল বলেন, ধর্মের ভিত্তিতে ঐক্যকে বিনষ্ট করা সংবিধানসম্মত না, অনেক ক্ষেত্রে মানুষের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টি করতে ধর্মকে ব্যবহার করা হয়েছে এবং হচ্ছে।এটি চিরতরে বন্ধ করতে হবে।

ড. কামাল বলেন, ‌‌ধর্মকে ব্যবহার করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। বর্তমানে ক্ষমতালোভীরা ধর্মের অপব্যবহার করে মানুষকে অধিকার থেকে বঞ্চিত করছে।কিছু রাজনৈতিক গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতাকে ধরে রাখার জন্য ধর্মকে অপব্যবহার করছে।

তিনি বলেন, ‘সংবিধানেও আছে ধর্মকে অপব্যবহার করা যাবে না। আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক-এই নাগরিক হিসেবে আমাদের দায়িত্ব সব ধর্মের সঙ্গে সম্প্রীতি গড়ে তোলা। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই মানুষের সকল অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। ধর্মের নামে বৈষম্য আমাদের দেশে নেই।’

ড. কামাল বলেন, সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে এটাই স্বাভাবিক। মানুষের মধ্যে বৈষম্য গ্রহণযোগ্য নয়। এ সময় বাংলাদেশে সব ধর্মের সহাবস্থান নিয়ে গর্ববোধ করেন বলেও জানান ড. কামাল হোসেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা বলেন, স্বাধীনতার মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা আজকে সেই অবস্থানে এসেছি। যেখানে আমরা ধর্মের ভিত্তিতে বৈষম্য-এটার বিরুদ্ধে আমরা নিন্দা করে অবস্থান নিতে পারছি, যে না সব ধর্মের মানুষ আমরা সমান অধিকার ভোগ করি। এখানে কোনো সাম্প্রদায়িকতাকে কোনো স্থান দেই না আমরা।

বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. সুকোমল বড়ুয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানী দিলারা চৌধুরী প্রমুখ।