ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিজেদেরকে সম্রাট ভাবছে: নজরুল ইসলাম খান

0
459
blank
blank

ঢাকা: ক্ষমতাসীন দলের নেতারা নিজেদেরকে সম্রাট ভাবছে বলে অভিযোগ করেছেন নজরুল ইসলাম খান। রোববার দুপুরে এক মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, আমরা এখন দেখতে পারছি, সরকারের অস্ত্র এবং সরকারি দলের অস্ত্র বেপরোয়া হয়ে যাচ্ছে। সরকারি দলের নেতারা গুলি করে এখন সাংবাদিক পর্যন্ত হত্যা করা শুরু করেছে। তাদের নেতারা বিয়ের অনুষ্ঠানে বন্দুকের গুলি চালিয়ে উৎসব করেন। তারা ছাত্রদের গায়ের উপরে দিয়ে হেটে যেয়ে নিজেদের প্রভুত্ব জাহির করেন।
সরকার দল আজকে জনগণের সেবক না আজকে তারা নিজেদেরকে সম্রাট ভাবা শুরু করেছে, রাজা ভাবা শুরু করেছে। একবারও ভাবে না কত সম্রাট, কত রাজা, কত প্রভু ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে স্বাধীনতা ফোরামের উদ্যোগে ‘খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজিরার নামে হয়রানি এবং তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানার প্রতিবাদে এই এই মানববন্ধন হয়।
সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ‘র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, নির্বাহী কমিটির সদস্য খালেদা ইয়াসমীন, নিপুণ রায় চৌধুরী, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।
পুরনো ঢাকায় প্রতি সাপ্তাহে আদালতে হাজিরা দিয়ে খালেদা জিয়াকে হয়রানির সমালোচনা করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা বলতে চাই, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া রাজনৈতিক নেতৃত্ব, তারেক রহমান রাজণৈতিক নেতৃত্ব- তাদের সঙ্গে আচরণ রাজনৈতিক হওয়া উচিৎ। আর যদি না হয়, তাহলে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন হবে, সে দৃষ্টান্ত এখন যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের জন্য শুভ হবে না।
আমরা বলতে চাই, দিনে দিনে দেনা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। এই দেনা শোধ করা দায়িত্ব নিয়েই সরকারকে আচরণ করতে হবে।
বিশেষ জজ আদালতের প্রতি বেগম জিয়ার অনাস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের নেত্রীর যে আদালতে বিচার হচ্ছে, সেই আদালতের প্রতি অনাস্থা জানিয়েছেন। দেশের একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দেশের অন্যতম প্রধান দলের নেত্রী এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় মানুষ, তিনি যখন এই দাবি জানান, উচ্চ আদালতের এটা বিবেচনায় নেয়া উচিত। এমনকি ওই আদালতের বিচারক আছে, তিনি নিজেও বিষয়টি বিবেচেনায় নিয়ে নিজে থেকে সরে যেতে পারেন।
কারণ যে আদালতের ওপর যিনি অভিযুক্ত তার আস্থা থাকে না, সেই আদালতের বিচার প্রশ্নরোধক হতে বাধ্য। আমরা মনে করি, যতদিন এই সরকার ক্ষমতায় আছে, বেআইনি আচরণ, অগণতান্ত্রিক আচরণ, অনৈতিক আচরণ চলতেই থাকবে এবং দলীয়করণ ও আত্বীয়করণের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানসমূহ আরো ধ্বংস হয়ে যাবে।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা দাবি করেছি, যে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের কাছে জবাবদিহিতা করবে, জনগনের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, এমন একটি নির্বাচিত সরকার হোক। আর তার জন্য দরকার একটি সাহসী যোগ্য নির্বাচন কমিশন।
আমরা বিশ্বাস করি, দেশের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে নিরপেক্ষ যোগ্য ও সাহসী একটি নির্বাচন কমিশন মহামান্য রাষ্ট্রপতি গ্রহন করবেন। বিএনপি একটি জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক ও উদার দল, নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতার হাত বদল হবে।