খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য দুই মামলায় জামিন প্রয়োজন: খন্দকার মাহবুব

0
810
blank

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। রোববার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

জামিন আদেশ বহাল রাখার পর সাবেক প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ‘কুমিল্লায় নাশকতার মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। সরকারপক্ষের আবেদন বাতিল করে জামিন আদেশ বহাল রাখেন। তবে আরো দুটি মামলায় জিয়া চ্যারিটেবল ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় জামিন হলে তিনি মুক্তি পাবেন।’

দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে খন্দকার মাহবুব হোসেন আরো বলেন, ‘খালেদা জিয়া খুবই অসুস্থ, তাঁর চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হবে না।’

খালেদা জিয়া প্যারোলে মুক্তির আবেদন করবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ রাজনৈতিক বিষয়। প্যারোলের আবেদন করা খালেদা জিয়ার নিজস্ব এখতিয়ার। এ বিষয়ে আইনজীবী হিসেবে আমরা কিছু বলব না।’

আদালতে আজ খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।

এর আগে গত ৩১ মার্চ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন ৭ এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত করে শুনানির জন্য আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চেম্বার বিচারপতি মো. নুরুজ্জামানের আদালত এ আদেশ দেন।

গত ১৯ মার্চ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ।

গত ৬ মার্চ এ মামলায় খালেদা জিয়াকে ছয় মাসের জামিন দেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি এস এম মুজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ।

২০১৫ সালের শুরুর দিকে ২০ দলীয় জোটের ডাকা অবরোধ চলাকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া পেট্রলবোমায় আইকন পরিবহনের একটি বাসের কয়েকজন যাত্রী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। আহত হন আরো ২০ জন।

এ ঘটনায় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। পরে এ মামলায় খালেদা জিয়াকে আসামি দেখানো হয়।