গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ করার মহাপরিকল্পনা: খালেদা

0
551
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: মিথ্যা অভিযোগে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের আটক গণতন্ত্রকে চিরদিনের জন্য নিরুদ্দেশ করে রাখারই মহাপরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। বিশিষ্ট আইনজীবী ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ইয়াসিন আলীকে গ্রেফতারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে মঙ্গলবার গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেন।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার সারাদেশকে গ্রাস করতে সর্বনাশা নীতি অবলম্বন করেছে। এই নীতির তাৎপর্য হচ্ছে হুকুমবাদ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিরোধী দল ও ভিন্ন মতের অস্তিত্বের চিরদিনের জন্য অবসান ঘটানো। দিন যতোই অতিবাহিত হচ্ছে ভোটারবিহীন সরকারের জিঘাংসার মাত্রা ততোই ভয়াবহ রুপ ধারণ করছে। এই সরকার বিরোধীদল দমনে হয়রানি, জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, গ্রেফতার ইত্যাদিকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। ভয় ও আতঙ্ক সৃষ্টি করা সরকারের জন্য জরুরি হয়ে পড়েছে এজন্য যে, মানুষের প্রতিবাদী স্রোত যেন ক্ষমতার মসনদের দিকে ধেয়ে না আসে।

তিনি বলেন, এই লক্ষ্য পূরণে তৈমুর আলম খন্দকারের ন্যায় একজন প্রাজ্ঞ আইনজীবী ও রাজনীতিবিদকে আজ বিনা কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারুণ্যের শক্তিকে প্রতিহত করার জন্য ইয়াসিন আলীর মতো যুবকদেরকেও কারাগারে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রাখা হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, বিরোধী দল সংবিধান স্বীকৃত সকল রাজনৈতিক অধিকার থেকে এখন বঞ্চিত। দেশে গণতন্ত্রের লেশমাত্র চিহ্ন নেই। মৌলিক ও মানবাধিকার বর্তমান সরকার আগেই ভুলুণ্ঠিত করেছে। গণমাধ্যম এখন পরাধীন। আইন-আদালতও এখন শাসকগোষ্ঠীর মুখাপেক্ষী। শাসকগোষ্ঠী দেশে এক শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থার সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক নেতাকর্মীরা ছাড়াও দেশের কোনো মানুষই এখন নিজেদের নিরাপদ বোধ করছেন না।

খালেদা জিয়া বলেন, অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াসিন আলীসহ সারাদেশে প্রতিদিন যে গণগ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে-তা অবিলম্বে বন্ধ করার আহ্বান জানচ্ছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মু্ক্তির জোর দাবি করছি।