গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত করছে বিএনপি: ওবায়দুল কাদের

0
519
blank

ঢাকা: বিএনপির প্রতি ইঙ্গিত করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছে, নির্বাচনে না এসে ভুল করেছে আজ তারা রাজনীতিতে বেপরোয়া চালক হয়ে গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত করছে। চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে শুক্রবার বিকেলে এক আলোচনা সভায় তিনি এ সব কথা বলেন। আওয়ামী মোটর চালকলীগ ‘শহীদ নূর’ হোসেনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, ‘শহীদ নূর হোসেন যে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, আত্মবলিদান দিয়েছে, সেই গণতন্ত্র স্বৈরাচার থেকে মুক্ত পেলেও বিপদ থেকে মুক্তি পায়নি। সে গণতন্ত্র স্বৈরাচারমুক্ত, কিন্তু এখনও গণতন্ত্র বিপদমুক্ত নয়। আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্রের যে অভিযাত্রা, সে অভিযাত্রা কি ঝুঁকিমুক্ত? গণতন্ত্রের এ অভিযাত্রা হচ্ছে গণতন্ত্রকে সংহত করা, প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া। এই যাত্রা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে, এই যাত্রা অনেক ঝুঁকিপূর্ণ।
সেতুমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচনের পর পেট্রোলবোমা দিয়ে গাড়ির চালক পুড়িয়ে তারা মারতে চেয়েছে দেশের গণতন্ত্রকে। আজও গণতন্ত্রকে পুড়িয়ে মারার, গণতন্ত্রকে গুলি করে হত্যা করার, গণতন্ত্রকে রক্তাক্ত করার চক্রান্ত চলছে।
চালকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মন্ত্রী হিসেবে অনেকে আমার সফলতার কথা বলে, মন্ত্রী হিসেবে আমি নিজেকে সফল মনে করি না। সড়কে দূর্ঘটনা ও যানজট দূর করতে পারিনি। এ দুটি বিষয় দৃশ্যমান ব্যর্থতা রয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, আমার মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পরিবহন ও সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা। এই চ্যালেঞ্জে আপনাদের সহযোগিতা আমি চাই। চালকদের জন্য ট্রেনিং ইন্সটিটিউশনের কাজ চলমান রয়েছে, থেমে নেই। বেসরকারি পর্যায়ে কিছু প্রশিক্ষণ সংস্থা থাকলেও চাহিদার তুলনায় একেবারে কম। অদক্ষ চালকও দূর্ঘটনার কারণ।
চালকদের উদ্দেশ্যে করে তিনি বলেন, আমি আপনাদেরকে অনুরোধ করবো বাচ্চাদেরকে, শিশুদেরকে ড্রাইভার বানাবেন না। যানজট আর দূর্ঘটনার জন্য দায়ি আমাদের মন-মানসিকতা। মন-মানসিকতা পরিবর্তন না হলে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে না। শৃঙ্খলা না আসলে দূর্ঘটনা বা যানজট হবেই।
মহিলা চালক বাড়ানোর উপর জোর দিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আরও মহিলা ড্রাইভার দরকার। মহিলাদের মাথা ঠান্ডা থাকে। মহিলারা গাড়ি চালালে ঝুঁকি থাকে না। পুরুষদের মধ্যেও অনেক দক্ষ চালক আছে, তা না হলে তো বাংলাদেশে খালি দূর্ঘটনাই ঘটতো। আপনারা যে দাবি জানিয়েছেন আমি ট্রেনিংয়ের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারবো।
সংগঠনটির সভাপতি মো. আলী হোসেনের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, প্রধানমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব সাইফুজ্জামান শিখর, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. কালু শেখ প্রমুখ।