গাজীপুরে ভোট ডাকাতি হতে দেয়া হবে না: ড. মোশারফ

0
489
blank
blank

গাজীপুর: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন বলেছেন, খুলনায় একটি বিশেষ কায়দায় সরকার ভোট ডাকাতি করেছে। আমরা তাদের সেই কৌশল জেনে গেছি। খুলনায় তারা আমাদের কাছে ধরা খেয়েছে। খুলনা আর গাজীপুর এক নয়। গাজীপুরে ভোট ডাকাতি হতে দেওয়া হবে না। গাজীপুর সিটি নির্বাচন হবে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অগ্নিপরীক্ষা। আমরা এই নির্বাচন দেখে পরবর্তী সিদআন্ত গ্রহণ করবো।
তিনি বলেন,নগর পিতা হওয়ার মত আমরা যোগ্যপ্রার্র্থীকে মনোনয়ন দিয়েছি। গাজীপুরবাসীই সিদ্ধান্ত নিবে তারা নগর পিতা নির্বাচন করবে নাকি নগর নাতি নির্বাচন করবে।
তিনি আরো বলেন,ধানের শীষের গণ জোয়ার স্তিমিত করতে সরকার আদালতের কাঁদে বন্ধুক রেখে গাজীপুর সিটি নির্বাচন স্থগিত করিছিল। আমাদের প্রার্থীর আইনী লড়াইয়ের পর তারা আবার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। এবার আমরা আরো বেশি শক্তি নিয়ে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে অবতীর্ণ হবো। সরকার এখানে কারচুপি করলে গাজীপুর থেকেই আন্দোলনের শুভ শুচনা হবে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মিলন বলেন, সরকারি দলের মন্ত্রী-এমপিরা একের পর এক আচরণবিধি লঙ্ঘন করলেও নির্বাচন কমিশন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আজকেও টঙ্গীতে সরকারি দলের এমপি ও কেন্দ্রীয় নেতারা গোপন মিটিং করেছেন। তিনি বলেন, আমাদের কোন গোপন কর্মকান্ড নেই। আমাদের প্রার্থী প্রকাশ্য; আমাদের প্রতীক প্রকাশ্য এবং আজকের অনুষ্ঠানে আমাদের প্রধান অতিথিও প্রকাশ্য। তিনি বলেন, খুলনায় ছিল নির্বাচন কমিশনের সেমিফাইনাল খেলা। গাজীপুরে দেশবাসী নির্বাচন কমিশনের ফাইনাল খেলার অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। ফাইনাল খেলায় প্রমাণ হবে নির্বাচন কমিশন আওয়ামীলীগর আজ্ঞাবহ হয়ে কাজ করে; নাকি জনগণের ভোটাধিকারের প্রতি সম্মান প্রর্দশন করে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ২০ দলীয় জোট মেয়রপ্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা হাসান উদ্দিন সরকার বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে এদেশের মানুষের জন্য কাজ করার চেষ্টা করেছি। কখনো হয়তো ভুল হতে পারে। এখন একটি বিশেষ সময়ে এসে প্রার্থী হয়েছি। টঙ্গীবাসী আমাকে কখনো ছোট করেনি, আগামীতেও আমাকে ছোট করবে না বলে আমি বিশ্বাস করি।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৩৭তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার টঙ্গীর ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলের বক্তৃতায় তারা এসব কথা বলেন। দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, শহীদুল ইসলাম বাবু, ওমর ফারুক সাফান, জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি সালাহউদ্দিন সরকার, সহসভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, গাজীপুর বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট শহীদুজ্জামান, জেলা হেফাজতে ইসলামের যুগ্ন সম্পাদক মুফতি নাসির উদ্দিন, শিল্পপতি সোহরাব উদ্দিন, সাখাওয়াত হোসেন সেলিম, মাহবুবুল আলম গোলাপ, মাহবুবুল আলম শুক্কুর, আলাউদ্দিন চৌধুরী, বসির আহমেদ বাচ্চু, সাখাওয়াত হোসেন সবুজ, অ্যাডভোকেট রফিকুল আলম বাচ্চু, আব্দুস সালাম, আশরাফ হোসেন টুলু, জয়নাল আবেদীন, মনিরুজ্জামান খান লাবলু, মেহেদী হাসান এলিস, প্রভাষক বসির উদ্দিন আহমেদ, মাসুদ রানা, রফিকুল আলম বাচ্চু, ৫৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আমিনুর রহমান মধু, ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ মো. আলেক প্রমুখ।