গাড়ি কিনতে সুদ ছাড়াই ৩০ লাখ টাকা ঋণ!

0
539
blank
blank

উপসচিব থেকে শুরু করে তারও উচ্চ পদের সরকারি চাকরিজীবীদের গাড়ি কেনার জন্য সরকার এককালীন ৩০ লাখ টাকা করে ঋণ দেবে। ‘বিশেষ অগ্রিম’ নামের এই ঋণের বিপরীতে তাঁদের কোনো সুদও পরিশোধ করতে হবে না। আবার সেই টাকা দিয়ে কেনা গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণ, তেল খরচ ও চালকের বেতনবাবদ সরকার তাঁদের আরও দেবে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে।

গাড়ি কেনার ঋণ পরিশোধের আগে সরকারের অনুমতি নিয়ে তা বিক্রিও করতে পারবেন সরকারি কর্মকর্তারা। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরকারি চাকরিজীবীদের স্বার্থে তিনটি আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। সেপ্টেম্বরের শেষ সপ্তাহে জারি করা তিনটি প্রজ্ঞাপন কার্যকর হচ্ছে গত জুলাই থেকে। পুরো বিষয়টিতেই অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মতি রয়েছে। সুবিধাগুলো দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে অবশ্য গত জুন মাস থেকে। সম্প্রতি গাড়ি কেনার ঋণের পরিমাণ ২৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লাখ টাকা করা হয়েছে।

উচ্চ পদের সরকারি চাকরিজীবীদের ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা’ বলা হয়। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও জ্যেষ্ঠ সচিব এবং তাঁদের সমমর্যাদার কর্মকর্তারা। গত জুনে উপসচিবদেরও অন্তত গাড়ি ব্যবহারের দিক থেকে প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘোষণা করে সরকার।

এরপর গত ২৫ আগস্ট ‘প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের সুদমুক্ত বিশেষ অগ্রিম এবং গাড়িসেবা নগদায়ন নীতিমালা, ২০১৭ (সংশোধিত)’ নামে একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এক মাস পর গত ২৫ সেপ্টেম্বর আবার তা সংশোধন করে। সংশোধনের তিন দিন পর গত ২৮ সেপ্টেম্বর একই মন্ত্রণালয় একই বিষয়ে আবার জারি করে দুটি প্রজ্ঞাপন।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, ঋণ পেতে হলে সরকারি কর্মকর্তাকে আগে সার্বক্ষণিক গাড়ি ব্যবহারের প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হতে হবে। ঋণ মঞ্জুরির আদেশ জারির পর থেকে অন্তত এক বছর ওই কর্মকর্তার চাকরি থাকতে হবে। চাকরিজীবনে একবারই তিনি এই ঋণ পাবেন। গাড়ি কেনার জন্য অগ্রিম চেক নিয়ে যাওয়ার পর তিনি তা প্রত্যাহার করতে পারবেন না।

কোনো প্রাধিকারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকারি যানবাহন অধিদপ্তর থেকে গাড়ির সুবিধা পেলেও ঋণের জন্য তিনি আবেদন করতে পারবেন। তবে ঋণের টাকায় গাড়ি কেনার পর অধিদপ্তরের গাড়ি ব্যবহারের সুবিধা তাঁর বাতিল হয়ে যাবে।