গ্রামীণফোনের শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে প্রতারনার মামলা

0
465
blank
blank

চট্টগ্রাম: ‘অফার’ দিয়ে ‘প্রতারণার’ অভিযোগ তুলে গ্রামীণফোনের বর্তমান ও সাবেক ২২ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের আদালতে মামলা করেছেন এক গ্রাহক।

বুধবার চট্টগ্রামের মহানগর হাকিম হারুন উর রশিদের আদালতে মামলাটি করা হয়। আদালত বাদীর অভিযোগ এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে ইপিজেড থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশের বৃহত্তম মোবাইল অপারেটরটির সাবেক সিইও রাজীব শেঠি, সাবেক সিইও টরে জনসন, সাবেক সিইও বিবেক সুদ, সাবেক সিআরও কাজী মনিরুল কবির, বর্তমান হেড অব এক্সটার্নাল কমিউনিকেশন সৈয়দ তালাত কামাল।

বাদী আইনজীবী এস এইচ এম হাবিবুর রহমান আজাদ বলেন, টেলিযোগাযোগ আইনে মামলাটি করতে তার পাঁচ বছর সময় লেগেছে।

“এরমধ্যে বিটিআরসি আমাকে তিন বছর ঘুরিয়েছে। থানার মামলা গ্রহণের ক্ষমতা থাকলেও তারা তা গ্রহণ করেনি। সবশেষে আজ নতুন করে অভিযোগ করার পর আদালত তা থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।”

বাদীর আইনজীবী ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী জানান, অভিযোগের বিষয়ে আদালতের পক্ষ থেকে বিটিআরসির প্রতিবেদন চাওয়া হয়।

“প্রতিবেদনে বিটিআরসি নিজস্ব মতামতও দিয়েছিল। যেটি আইনত গ্রহণযোগ্য নয়। সব বিষয় উল্লেখ করে আজ আদালতে আবার নতুন অভিযোগ করা হয়।”

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ এর ৬৬(২)/৭৪ ধারায় বুধবার মামলাটি করা হয়।

৬৬ ধারায় রয়েছে- কোনো ব্যক্তি টেলিযোগাযোগ যন্ত্রপাতি বা বেতার যন্ত্রপাতি ব্যবহার করিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো মিথ্যা বা প্রতারণামূলক বিপদ সংকেত, বার্তা বা আহ্বান প্রেরণ করিবেন না বা তাহা করাইবেন না৷ এর লঙ্ঘনে শাস্তি অনধিক ৫ বছর কারাদণ্ড বা অনধিক ১০০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ড।

৭৪ ধারায় রয়েছে – কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন যে কোনো অপরাধ সংঘটনে সহায়তা করিলে, অথবা উক্ত অপরাধ সংঘটনে প্ররোচনা দিলে বা ষড়যন্ত্র করিলে এবং উক্ত ষড়যন্ত্র বা প্ররোচনার ফলে অপরাধটি সংঘটিত হইলে, উক্ত সহায়তাকারী ষড়যন্ত্রকারী, বা প্ররোচনাকারী উক্ত অপরাধের জন্য বর্ণিত দণ্ডে দণ্ডনীয় হইবেন৷