চট্টগ্রাম বন্দরের জটিলতা দ্রুত সমাধান হবে: নৌমন্ত্রী

0
483
blank
blank

নিজস্ব প্রতিবেদক: নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজজট ও বেনাপোল স্থল বন্দরে পণ্য খালাসের জটিলতা দ্রুত সমাধান হবে। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়, বন্দরসহ ব্যবসায়ীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ে বিভিন্ন ব্যববসায়ী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি একথা বলেন।

বৈঠকে নৌ সচিব অশোক মাধব রায়,  চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়েল এডমিরাল এম খালেদ ইকবাল, এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, সাবেক সভাপতি একে আজাদ, বিটিএমইএ সভাপতি সৈয়দ নাসিম মনজুর, তপন চৌধুরী, বারভিটা সভাপতি হাবিব উল্লাহ ডন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে ব্যবসায়ী নেতারা চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজজট এবং বেনাপোল স্থল বন্দরের অবকাঠামোগত নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন। অবকাঠামোগত এসব সমস্যার কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

একে আজাদ বলেন, গার্মেন্টস খাতে নানা ধরনের প্রতিকূলতার মধ্যে রয়েছে। রফতানির প্রধান সেক্টরটি পার্শ্ববর্তীদেশগুলোতে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে বন্দরের দীর্ঘসূত্রতার জটিলতা সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

তিনি বলেন, এ খাতের রফতানিতে বাংলাদেশ ১১ শতাংশ পিছিয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ভারত, ভিয়েতনাম ৪০ শতাংশ এগিয়ে গেছে। যা দেশের জন্য মোটেও শুভ নয়। এ জন্য সরকারকে এখনই পদক্ষেপ নিতে হবে।

নৌমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের উদ্বেগের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। যারা ব্যবসা করেন-যথাসময়ে যদি পণ্য রফতানি না হলে আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশের ভাবমূর্তিও ক্ষুন্ন হয়।

তিনি বলেন, এ সেক্টরের সঙ্গে যারা জড়িত, সবাইকে নিয়ে পরশু সভা করবো। বুধবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবো। তিনি যদি বৈঠকে থাকেন-তাহলে আরও ভালো হবে। তিনি চাইলে নতুন তারিখ দিতে পারেন।

বেনাপোল বন্দর প্রসঙ্গে শাজাহান খান বলেন, বেনাপোলের সমস্যা আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে। বেনাপোলে নতুন আটটি ইয়ার্ড তৈরির কাজ চলছে, সেগুলো শেষের পথে। ইয়ার্ডের কাজ শেষ হলে  সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।