লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশুর হাতে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী পরিবারের লোকজন জানান, বর্তমানে আহত ওই নারীকে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শনিবার সকালে লাহারকান্দি ইউনিয়নের লাহারকান্দি গ্রামের যুগি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। আহত কণিকা দেবনাথ যুগি বাড়ির অনুপ চন্দ্র দেবনাথের স্ত্রী।
ঘটনার সময় ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু ভুক্তভোগী ওই নারীর পরিবারের মালিকানাধীন জমিতে থাকা একটি সীমানা প্রাচীর গুঁড়িয়ে দেন।
তবে ইউপি চেয়ারম্যান মশুর দাবি, সীমানা প্রাচীর ভাঙার সময় ওই নারী বাধা দিলে তার গায়ে হাত লাগে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ইউপি চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন মশু, ইউপি সদস্য সিরাজ ও গ্রাম পুলিশ জহিরসহ কয়েকজন এসে কোন নোটিশ ছাড়াই বিকাশ চন্দ্র দেবনাথের মালিকানাধীন জমিতে নির্মাণাধীন সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় ও অন্তঃসত্ত্বা কণিকা দেবনাথকে মারধর করেন।
এ ব্যাপারে বিকাশ চন্দ্র দেবনাথ জানান, আমার মালিকানাধীন জমিতে নির্মাণাধীন প্রাচীর ভাঙচুরের সময় বাধা দিতে গেলে চেয়ারম্যান আমার পরিবারের ওপর হামলা করে ও সীমানা প্রাচীর ভেঙে দেয় ।
ঘটনা অস্বীকার করে চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মশু জানান, হামলা বা মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। সীমানা প্রাচীর উচ্ছেদের সময় ওই নারী বাধা দিতে গিয়ে কোনোভাবে আহত হতে পারে। তবে কি কারণে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করা হচ্ছে তার কোন উত্তর না দিয়ে তিনি আরও জানান, এটা নিয়ে ঝামেলা আছে প্রতিবেশীদের সঙ্গে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুল হক মিয়া জানান, দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ ছিল। থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে। তাদের সঙ্গে বসে বিষয়টি সমাধান করা হবে।
চেয়ারম্যানের হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।