ছাত্রলীগের তাণ্ডবে মনে হয় না দেশে সরকার আছে: মওদুদ

0
631
blank
blank

অনলাইন প্রতিবেদক: ছাত্রলীগ-যুবলীগের তাণ্ডবলীলা দেখলে মনে হয় না যে বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো সরকার আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ। শুক্রবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার প্রতিবাদ এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মানববন্ধনে তিনি বলেন, ‘আজকে কি বলে শুরু করবো ভাষা নেই। গত ১০ বছরে ছাত্রলীগ যুবলীগের তাণ্ডবলীলা চরম একটা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এরা অন্যায় ভাবে শত শত কোটি টাকা লুটপাট করে বিদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে। পাচার করেছে। ৮৬ কোটি টাকা টেন্ডারবাজির অভিযোগ ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে অপসারণ করা হয়েছে। এদের কর্মকাণ্ড শেষ হওয়ার পরেই আমরা দেখতে পেলাম যুবলীগের তাণ্ডবলীলা। যা এক কথায় অবিশ্বাস্য। এতে করে বোঝা যায় বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কোনো সরকার নেই।’

প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর প্রসঙ্গে বিএনপির জাতীয স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন,‘প্রধানমন্ত্রী যখন ভারত সফরে গেলেন আমরা অত্যন্ত আশাবাদী ছিলাম। আমরা ভেবেছিলাম অন্তত তিনি তিস্তা নদীর পানির ব্যাপারে একটি সমঝোতার খবর নিয়ে আসবেন। আজকে দশ বছর এই সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় আছে তারপরেও আমাদের ন্যায্য হিস্যা তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা তিনি অর্জন করতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী ভারতকে ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসলেন অথচ কোনো জাতীয় স্বার্থ পূরণ করেননি। বাংলাদেশের মানুষ এই সরকারকে আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

খালেদা জিয়া সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না অভিযোগ করে মওদুদ বলেন,‘বেগম জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর আমরা এক বছর দুই মাস দাবি করার পর তাকে পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। অথচ যুবলীগের সম্রাট কারাগারে যাওয়ার দু’দিন পরই তাকে ভিআইপি মর্যাদায় চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। বেগম জিয়া অত্যন্ত অসুস্থ তারপরও তাকে সঠিক চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে না। এতেই বোঝা যায় দেশে দ্বৈতনীতি চলছে।’

তিনি বলেন,‘শহীদ আবরার হত্যার বিচার বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার একমাত্র পথ হচ্ছে রাজপথ। এই রাজপথে আন্দোলনের মাধ্যমেই এই সরকারকে হটিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তবেই কেবলমাত্র আমরা সকল হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার দেখতে পাবো।’