সিলেট: ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষের জেরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি)বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। একই সাথে শিক্ষার্থীদেরকে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তুপক্ষ। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ, সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সাজিদুল ইসলাম সবুজের নেতৃত্বে একটি সম্মিলিত পক্ষ শাখা সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান সমর্থিত পক্ষকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ইমরানের পক্ষ উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে অবস্থান নেয়। ঘটনার সময় সময় বেশ কয়েকটি গুলি ও অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণের শব্দে ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে ল্যাপটপ, মোবাইল ফোনসেটসহ বেশ কিছু জিনিসপত্র লুটপাট করে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. রাশেদ তালুকদার ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে শান্ত থাকার পরামর্শ দেন।
এদিকে ধাওয়ায় অংশ নেওয়া আবু সাঈদ আকন্দ, অঞ্জন রায় ও সাজিদুল ইসলাম সবুজের সম্মিলিত পক্ষ বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলে গিয়ে তার নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় উত্তেজিত নেতাকর্মীরা বেশ কয়েকটি কক্ষ ভাঙচুর করে এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান নিয়ন্ত্রিত বেশ কয়েকটি কক্ষে তালা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ করেছে প্রতিপক্ষরা। তবে সামগ্রিক ঘটনার জন্য পরস্পরকে দায়ী করেছে দুই পক্ষ।
ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান খান বলেন, সন্ধ্যার দিকে হঠাৎ বিনা কারণে সাঈদ, অঞ্জন, সবুজের নেতৃত্বে তাদের কর্মীরা অস্ত্রে সজ্জিত হামলা চালায়। পরে তারা আমাদের কক্ষ ভাঙচুর করে ল্যাপটপ, মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে সহসভাপতি আবু সাঈদ আকন্দ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ইমরানের কর্মীরা আমার কর্মীদের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এটি হলো তার ক্ষোভের বিস্ফোরণ।’ কোনো ধরনের ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেন তিনি।