ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের আন্দোলনে চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল

0
505
blank

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদদাতা: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে স্থান ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট পালন করছেন। পরিবহন চলাচল বাধাগ্রস্ত করায় বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল রয়েছে। পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের হামলায় পুলিশের এক সদস্য ও শাটল ট্রেনের এক চালক আহত হয়েছেন।

গত সোমবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেন পদবঞ্চিত কর্মীরা। তাঁরা গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম-হাটহাজারী সড়ক অবরোধ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। এতে সাধারণ যাত্রী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দুর্ভোগ পোহান। আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র ধর্মঘট আহ্বান করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীরা আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন দপ্তরে তালা লাগিয়ে দেন। এতে শিক্ষকদের বহন করা কোনো বাস বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শহরে যেতে পারেনি। এ ছাড়া শহর থেকেও কোনো বাস বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেনি।

সকাল পৌনে আটটার দিকে নগরের ঝাউতলা স্টেশনে বিশ্ববিদ্যালয়মুখী শাটল ট্রেন আটকে দেন পদবঞ্চিতরা। তাঁরা চালককে ট্রেন থেকে নামিয়ে আটকে রাখেন। ঘণ্টাখানেক পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

সকাল পৌনে নয়টার দিকে ট্রেনটি বিশ্ববিদ্যালয় অভিমুখে যাত্রা শুরু করে। নগরের ফরেস্ট গেট এলাকায় ট্রেনটিকে বাধা দেন পদবঞ্চিতরা। তাঁদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি ছোড়ে। পদবঞ্চিতরা ইটপাটকেল ছোড়ে। এতে পুলিশসদস্য জাকির হোসেন ও ট্রেনচালক মো. ওয়াহিদুজ্জামান আহত হন।

বেলা ১১টার দিকে পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ নম্বর গেট এলাকায় অবস্থান করতে দেখা যায়।

ক্যাম্পাস সূত্র জানায়, পদবঞ্চিত নেতা-কর্মীদের অবরোধের কারণে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে পারেননি। এ কারণে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত অচল রয়েছে।

কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া রেজাউল হক বলেন, সংগঠনের দুঃসময়ে যাঁরা সক্রিয় ছিলেন, তাঁদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাঁরা আন্দোলনে নেমেছেন।

কর্মসূচি পালনকারী ও নতুন কমিটির সহসভাপতি মো. মামুন বলেন, এই কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি দিতে হবে। দাবি না মানলে টানা কর্মসূচি চলবে। তাঁরা এখন কেন্দ্রীয় নেতাদের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর টিপু বলেন, আন্দোলনকারীদের ব্যাপারে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা চলছে। প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।