ছাত্রলীগের মারপিটে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানের মৃত্যু

0
615
blank
blank

প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত হওয়ার ১০ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেল মুক্তিযোদ্ধার সন্তান যুবলীগ নেতা তৌহিদুল ইসলাম তৌহিদ সানা। তবে, পুলিশ বলছে তার বিরুদ্ধে ২২ টি মাদক মামলা রয়েছে। এদিকে, হত্যার ঘটনায় তার বোন রিনা রহমান ছয়জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দিয়েছেন। তৌহিদ সানা আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক সানার ছেলে।

বৃহস্পতিবার (৪০ এপ্রিল) রাতে খুলনা একটি হাসপাতাল থেকে তার লাশ নিজ বাড়ি বড়দল গ্রামে নিয়ে আসা হয়। এ সময় সেখানে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। পুলিশ লাশটি ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি তৌহিদ সানার বিরুদ্ধে থানায় একটি মাদক মামলা হয়। এই মামলায় মাস তিনেক আগে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২৬ মার্চ জামিনে জেল থেকে মুক্ত হন তৌহিদ।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাড়ি ফেরার পর তৌহিদ বড়দল বাজারের একটি দোকানে বসে ছিলেন। এ সময় তার চাচাতো ভাই টুটুল সানা সন্ধ্যার দিকে তাকে মিষ্টি খাওয়ানোর কথা বলে তার অফিসে ডেকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তার প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে জনৈক খোকনের দোকানে নিয়ে মারপিট করে। তারা তাকে লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠিসোটা দিয়ে বেপরোয়াভাবে মারপিট করে। এরপর তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য দ্রুত নিয়ে যাওয়া হয় খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার তার মৃত্যু হয়।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ জানান, তৌহিদ সানা ২২ টি মাদক মামলার আসামি। গত বছর অক্টোবর মাসে তিনি গ্রেফতার হবার পর গত ২৬ মার্চ জামিনে বাড়ি আসে। এ দিন তাকে কয়েকজন যুবক পিটিয়ে আহত করে।

এ ঘটনায় নিহত তৌহিদের বোন রিনা রহমান বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।