জগন্নাথপুরকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে মানববন্ধন

0
421
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুরকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণার দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৬ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জগন্নাথপুর পৌর সদরের ব্যস্ততম পৌর পয়েন্টে খন্ডখন্ড মিছিল সহকারে প্রতিবাদী লোকজন সমবেত হয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ সমাবেশে মিলিত হন।
জগন্নাথপুর হাওর উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি শাহিদুল ইসলাম বকুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব আব্দুল মনাফ, চিলাউড়া-হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান চৌধুরী সুফি মিয়া, পৌরসভার প্যানেল মেয়র শফিকুল হক, প্যানেল মেয়র-২ সুহেল আহমদ, পৌর কাউন্সিলর আবাব মিয়া, তাজিবুর রহমান, গিয়াস উদ্দিন মুন্না, দিলোয়ার হোসেন, সাবেক পৌর কমিশনার লুৎফুর রহমান, ব্যবসায়ী মিন্টু রঞ্জন ধর, মাওলানা ইমরান আহমদ, সমাজকর্মী ছালিক আহমদ ডন, আবুল হাশিম ডালিম, সাংবাদিক তাজ উদ্দিন আহমদ, সানোয়ার হাসান সুনু, কৃষক মাসুক মিয়া প্রমূখ। এ সময় ব্যবসায়ী দিলোয়ার হোসেন, জগন্নাথপুর বাজার বণিক সমিতির নির্বাচনে সভাপতি প্রার্থী আলহাজ্ব শেখ আব্দুস সোবহান, বাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সেক্রেটারি জাহির উদ্দিন, জগন্নাথপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো.শাহজাহান মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা সাফরোজ ইসলাম মুন্না, বাজারের সহ-সেক্রেটারি জুনেদ আহমদ ভূইয়া, ব্যবসায়ী ফারুক আলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা হাজারো ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। পরে জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় ঘেরাও করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ এর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবরে জগন্নাথপুর উপজেলাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবি উপস্থাপন করে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ ২৬২ জন স্বাক্ষরিত একটি স্বারকলিপি প্রদান করা হয়।
এতে উল্লেখ করা হয়, জগন্নাথপুর উপজেলাকে বন্যা দুর্গত এলাকা ঘোষণা করা, আগামিতে নলুয়ার হাওরে বেড়িবাঁধের পরিবর্তে স্থায়ী বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ নির্মাণ করা, এবার হাওর তলিয়ে যাওয়ার পেছনে দায়ী পাউবো’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী, পিআইসি কমিটির চেয়ারম্যান ও ঠিকাদারকে গ্রেফতার করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা করা, এখন থেকে আগামি ২০১৮ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত জগন্নাথপুরে খোলা বাজারে সরকারি (ওএমএস) এর চাল বিক্রি চালু রাখা, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মধ্যে ভিজিডি, ভিজিএফ কার্ড বিতরণের ব্যবস্থা করা, ক্ষগ্রিস্ত কৃষকদের কৃষি ঋণ মওকূপের ব্যবস্থা করা ও আগামি কৃষি মৌসুমে পর্যাপ্ত কৃষি ঋণ বিতরণের ব্যবস্থা করা। এসব দাবি বাস্তবায়ন হলে আগাম দুর্ভিক্ষের কবল থেকে জগন্নাথপুর বাসীকে রক্ষা করা যাবে। তা না হলে দুর্ভিক্ষের করাল গ্রাসে জগন্নাথপুর উপজেলার ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকসহ নি¤œ আয়ের গরীব লোকজনকে না খেয়ে মরতে হবে।