জগন্নাথপুরে জমে উঠছে গরু-ছাগলের হাট, এবার দেশী গরুর দাম বেশি

0
647
blank
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধিঃ জগন্নাথপুরে জমে উঠেছে পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে গরু-ছাগলের হাট। ঈদের বাকী আছে হাতে গোনা আর কয়েক দিন,এরই মধ্যে জমে উঠতে শুরু করেছে উপজেলার বাজারগুলো। অন্যান্য বছর পাশ্ববর্তী দেশ থেকে কোরবানী উপলক্ষ্যে গরু আসলেও এই বছর গরু এসছে তুলনা মূলক কম। ফলে উপজেলাবাসীকে কোরবানীর জন্য এবার দেশী গরুর উপর নির্ভর করতে হবে। বাইরের গরু না আসাতে দাম চড়াও দেশীয় গরুর। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার গরু প্রতি ১৫-২০ হাজার টাকার বেশী দাম গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
এদিকে রানীগঞ্জ বাজারে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সমগ্র জেলার ন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ক্রেতাগন এবার অকাল বন্যায় সকল জমি নিয়ে যাওয়ায় গোখাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় এই বছর গরুর দাম বৃদ্ধি হওয়াটাও অন্যতম কারণ হিসেবে দেখছেন ক্রেতাগন। ক্রেতারা বাজারে গিয়ে গরুর দাম দেখে রীতিমত অবাক। ঈদের আগে বাইরের গরু না আসলে বেশী দামে দেশী গরু দিয়েই এবার কোরবানী করতে হবে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসীকে। ঈদের এখনো ৯-১০ দিন বাকী থাকায় অনেকে গরুর দাম কম হওয়ার কথা চিন্তা করে এখনো গরু কিনতেছেনা।আবার বাইরের গরু না আসায় ঈদ পর্যন্ত রাখলে আরো ভালো দাম পাওয়ার আশায় গরু সহজে বিক্রি করছে না বিক্রেতারা।
উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের কৃষক মুনজুর আহমদ বলেন, ঈদ উপলক্ষ্যে ৬-৮ মাস আগে দুই জোড়া ষাঁড় কিনেছি ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে। বাজারে গো খাদ্যের দাম বেশী হওয়ায় দুটি গরুতে অনেক টাকা খরচও হয়েছে। গতকাল ২১ আগষ্ট সোমবার বাজারে ষাঁড় দুটি ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি। বাইরের গরু না আসাতে এই বছর আমার মতো অনেক ক্ষুদ্র কৃষক ভালো দাম পাইছে। এভাবে যদি প্রতি বছর বিভিন্ন দেশ থেকে গরু আসা বন্ধ থাকে তাহলে কৃষকরা গরুর ভালো দাম পাবে।
রানীগঞ্জ বাজারের সহ ইজারাদার দিদার আহমদ সুমন বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এবারও রানীগঞ্জ বাজারে দেশীয় গরুর সরবারহ এবং চাহিদা বেশী। তাছাড়া রানীগঞ্জ বাজার জগন্নাথপুরের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাজার হওয়াতে এখানে বাইরের ব্যাপারীই বেশী আসে। ঈদ উপলক্ষ্যে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নিজস্ব পাহারাদার বাহিনীর উপস্থিতির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোকসজ্জার ব্যবস্থা করা হয়েছে।