জগন্নাথপুরে জ্বালানী লাকড়ি‘কালো মাটি’

0
524
blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে যুগযুগ ধরে জ্বালানী লাকড়ি হিসেবে‘কালো মাটি’ ব্যবহার হয়ে আসছে। গ্রামগুলোর লোকজন হেমন্ত মৌসুমে নলুয়ার হাওর থেকে কালো মাটি উত্তোলন করে লাকড়ি আকারে তৈরি করে শুকিয়ে গোলায় তুলে রাখেন। এসব লাকড়ি দিয়ে তাদের সারা বছরের জ্বালানী লাকড়ির চাহিদা পূরণ হয়ে থাকে। এ ব্যাপারে বিজ্ঞজনদের অভিমত মাটির নিচে খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। যে কারণে কালো মাটি জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করা যাচ্ছে।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার সর্ববৃহৎ নলুয়ার হাওরের পূর্ব-দক্ষিণ পার এলাকায় হাওরে কালো মাটি পাওয়া যাচ্ছে। স্থানীয় হাওর পারের কবিরপুর, চিলাউড়া, হলদিপুর, খালিকনগর, যাত্রাপাশা, শেরপুর, ভবানীপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের লোকজন যুগযুগ ধরে জ্বালানী লাকড়ি হিসেবে কালো মাটি ব্যবহার করে আসছেন।
সরজমিনে দেখা যায়, নলুয়ার হাওরের ফসলি জমি থেকে খনন করে কালো মাটি উত্তোলন করা হচ্ছে। হাওরের অসংখ্য স্থানে অনেক গর্ত থেকে গ্রামের নারী-পুরুষ শ্রমিকরা কালো মাটি কেটে টুকরি ভরে মাথায় করে হাওরের পারে নিয়ে আসছেন। বিভিন্ন জমির মালিক তারা পৃথক পৃথকভাবে নিজে ও শ্রমিকের মাধ্যমে মাটি কেটে বাড়ির আঙ্গিনায় নিয়ে আসছেন। এসব মাটি মাঠে ও রাস্তার পাশে এনে লাকড়ির মতো বানিয়ে শুকাতে দিয়েছেন। এ সময় শ্রমিকরা জানান, প্রথমে এসব কালো কাঁদা মাটি হাওরের গর্ত থেকে বাড়ির আঙ্গিনায় আনতে হয়। এখানে এনে মাটি কাঁদা অবস্থায় থাকা কালীন সময়ে মাটিকে লাকড়ির মতো করে তৈরি করতে হয়। পরে শুকাতে হয়। প্রায় ১০ থেকে ১৫ দিন এসব মাটি রোদে শুকানোর পর জ্বালানী লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এভাবে যুগযুগ ধরে এসব গ্রামের লোকজন নলুয়ার হাওরের কালো মাটি লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করছেন। শুধু তাই নয়, অন্যান্য এলাকার লোকজনও এসব মাটি গাড়ি যোগে নিয়ে যান। তারাও এসব মাটি লাকড়ি বানিয়ে ব্যবহার করে থাকেন।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিজ্ঞ মহলের লোকজন জানান, নলুয়ার হাওরের মাটির নিচে কোন প্রকার খনিজ সম্পদ থাকতে পারে। যে কারণে হাওরে কালো মাটি পাওয়া যায় এবং এসব কালো মাটি জ্বালানী লাকড়ি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।