জগন্নাথপুরে প্রবাসীর ভবন ভাংচুরের ঘটনা পুলিশ সুপারের তদন্ত

0
490
blank
blank

স্টাফ রিপোর্টার: জগন্নাথপুর থানা পুলিশ এক মামলার আসামিকে গ্রেফতার করার কারণে প্রতিপক্ষের হামলায় প্রবাসীর দ্বিতীয় তলা ভবন ভাংচুরের ঘটনায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হওয়ার ঘটনা ও প্রবাসী পরিবারকে হয়রানীর ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে। শনিবার দুপুরে এসব ঘটনা তদন্ত করেছেন সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) কানন কুমার দেবণাথের নেতৃত্বে একদল পুলিশ।

পুলিশও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের জামালপুর (রুপসপুর) গ্রামের যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজেরা বিবির পুরনো বাড়ি দীর্ঘদিন ধরে জবর দখল করে আছে একই গ্রামের উস্তার উল্লার লোকজন। এ খবর পেয়ে প্রবাসী হাজেরা বিবি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে বাড়িতে গিয়ে তাদেরকে বাড়ি ছেড়ে দেয়ার তাগাদা দেন। এ সময় উস্তার উল্লার লোকজন প্রবাসী মহিলার কাছে বড় অংকের চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা বাড়ি ছেড়ে যায়নি। এরই জের ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ ও মামলা মোকদ্দমা চলে আসছে। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজেরা বিবির পক্ষে ছোটন মিয়া বাদী হয়ে প্রতিপক্ষের ১০ জনকে আসামি করে জগন্নাথপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি জগন্নাথপুর থানা পুলিশ গ্রামে অভিযান চালিয়ে মামলার আসামি উস্তার ছেলে ইকরাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করে সুনামগঞ্জ জেল হাজতে পাঠায়। তখন পুলিশ মামলার আসামি ইকরাম উদ্দিনকে গ্রেফতার করার কারণে প্রতিপক্ষ উস্তার উল্লার লোকজন প্রবাসী হাজেরা বিবির নতুন বাড়ির দ্বিতীয় তলা ভবনে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। বাড়ির দেয়াল থেকে শুরু করে থাই গ্লাস, দরজা-জানালা, ঘরের আসবাবপত্রসহ সব কিছু ভাংচুর করা হয়। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে প্রবাসী হাজেরা বিবি জানান। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এস আই সাইফুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ সময় ভবন ভাংচুরের ঘটনায় প্রবাসী হাজেরা বিবি বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ উস্তার উল্লাসহ তার লোকজনদের বিরুদ্ধে জগন্নাথপুর থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করেন।

এেিদক-প্রবাসী হাজেরা বিবির বিরুদ্ধে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজির কাছে পাল্টা লিখিত অভিযোগ করেন দুই মামলার পলাতক আসামি উস্তার উল্লাহ। প্রবাসী হাজেরা বিবির দায়ের করা দুইটি মামলা ও প্রতিপক্ষের দেয়া অভিযোগের ঘটনা তদন্তে শনিবার সুনামগঞ্জের সহকারি পুলিশ সুপার (সার্কেল) কানন কুমার দেবনাথ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি উভয় পক্ষসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের সাথে কথা বলেন। তদন্তকালে প্রবাসীর ভবন ভাংচুর ও বাড়ি দখলের সত্যতা পেয়ে তিনি আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।

এ ব্যাপারে যুক্তরাজ্য প্রবাসী হাজেরা বিবি অভিযোগ করে জানান, আমার প্রতিবেশি উস্তার উল্লার লোকজন আমার পুরনো বাড়ি দখল করে রেখেছে। বাড়ি ছাড়ার তাগাদা দিলে আমার কাছে বড় অংকের চাঁদা দাবি করে। আমি চাঁদা না দেয়ায় তারা দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে নির্যাতন করে আসছে। এছাড়া আমাদের মামলায় তাদের এক আসামিকে পুলিশ ধরার কারণে আমার বাড়ি ভাংচুর করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে। বর্তমানে আসামিদের অব্যাহতি হুমকিতে আমি ও আমার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তবে মামলার কারণে পলাতক থাকায় প্রতিপক্ষের উস্তার উল্লার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।