জগন্নাথপুরে মিরপুর ইউনিয়নের নির্বাচনের দাবিতে সভা

0
579
blank
blank

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর উপজেলার মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের দাবিতে সর্বস্তরের ইউনিয়নবাসীর উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় মিরপুর বাজারে মিরপুর ইউনিয়ন বাস্তবায়ন কমিটির আহবায়ক আব্দুল কাদিরের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম-আহবায়ক এমএম সুহেলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, যুক্তরাজ্য প্রবাসী হরমুজ আলী, নির্বাচন বাস্তবায়ন কমিটির উপদেষ্টা নুরুল ইসলাম, এমএ নুর, হাজী আব্দুল ওয়াদুদ, সাহিদ মিয়া, জানে আলম বাদশা মিয়া, রিয়াছত আলী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাহাব আলী, সাদেকুর রহমান সাদ, যুগ্ম-আহবায়ক রফিক উদ্দিন, হুমায়ূন খান, মুহিব উদ্দিন সেলিম, জুবেদ আলী লখন, কামরুজ্জামান সেবুল, ফয়সল হোসেন, সদস্য এনামুল খান, তানভীর আলম পিয়াস, যুক্তরাজ্য প্রবাসী নুর বক্স, আব্দুল লতিফ, মাওলানা মহি উদ্দিন এমরান, আব্দুর রহিম, নুরুল হক প্রমূখ।
এ সময় কমর উদ্দিন, মুহিবুর রহমান, আজির খান, সুহেল আহমদ, যুগ্ম-আহবায়ক, মোস্তফা আলী, ইউপি সদস্য সাহাব উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, আফিজ উল্লাহ, যুক্তরাজ্য প্রবাসী কদ্দুছ আলী, শামসুল ইসলাম, আব্দুল হক, সমসের আলী, মাহমদ আলম, আব্দুল কদ্দুস, কয়েছ আহমদ, আব্দুল আহাদ, খসরু মিয়া, বশির উদ্দিন, সুবোধ, সাইফুল ইসলামসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
সভায় বক্তারা বলেন, হাইকোর্টে মামলা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে দীর্ঘ ১৪ বছর ধরে মিরপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হচ্ছে না। একটি চক্র তাদের ব্যক্তি স্বার্থ হাসিলের জন্য ইউনিয়নবাসীর ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে। তা কোন অবস্থায় মেনে নেয়া যাবে না। সর্বস্তরের ইউনিয়নবাসীকে সাথে নিয়ে ধারাবাহিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের প্রাণের দাবি মিরপুর ইউনিয়নের নির্বাচন আদায় করে নেবো। দীর্ঘদিন নির্বাচন না হওয়ার কারণে ভারপ্রাপ্তদের ভারে ন্যুজ অনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে ইউনিয়নবাসীর কাংখিত উন্নয়ন হচ্ছে না। কেড়ে নেয়া হয়েছে ভোটের অধিকার। এছাড়া মিরপুর ইউনিয়নের লহরী গ্রামের এলাকার যে অংশ নিয়ে বিগত ২০০৩ সালে জগন্নাথপুর ও বিশ্বনাথ উপজেলার দশঘর ইউনিয়নের মধ্যে সীমানা বিরোধের কারণে স্থানীয় এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা করেছিলেন। প্রকৃত পক্ষে এখানে কোন সমস্যাই নেই। অত্র অঞ্চলের লোকজন বিগত জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। অথচ বিনা কারণে একটি কুচক্রী মহল মামলার মারপ্যাচে পেলে নির্বাচন হতে দিচ্ছে না। তাই আমরা নির্বাচন চাই, নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন জনপ্রতিনিধি চাই। চাই তাদের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাব দিহিতা। নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। আগামীতে গণস্বাক্ষর, বিভিন্ন দপ্তরে স্বারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। তাতেও কাজ না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে।