জগন্নাথপুরে লোক লজ্জার অপমানে কলেজ ছাত্রীর আত্মহত্যা

0
748
blank
blank

blank

জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে লোক লজ্জার অপমানে রোমেনা বেগম (১৮) নামের এক কলেজ ছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি জগন্নাথপুর উপজেলার পাটলি ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের আখলুছ মিয়ার মেয়ে। এ নিয়ে এলাকায় নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
সরজমিনে স্থানীয়রা জানান, পাটলি ইউনিয়নের কবিরপুর গ্রামের আখলুছ মিয়ার মেয়ে জগন্নাথপুর ডিগ্রি কলেজের ছাত্রী রোমেনা বেগম ও তার খালাতো ভাই একই ইউনিয়নের চক আছিমপুর গ্রামের আবু মিয়ার ছেলে অটোরিকশা চালক ইউনুছ মিয়ার মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এছাড়া কলেজ ছাত্রী রোমেনা বেগম স্থানীয় একটি ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন। স্কুলটি ইউনুছ মিয়ার বাড়িতে হওয়ায় তাদের মধ্যে প্রতিনিয়ত কথা হতো। ঘটনাটি জানাজানি হলে ছেলে পরিবার বিষয়টি মেনে না নেয়া নিয়ে তাদের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এর মধ্যে গত ২৭ জুলাই বাড়ি থেকে কলেজে যাওয়ার পথে রোমেনা বেগমকে অপহরণ করে নিয়ে যায় ইউনুছ মিয়া। অপহরণের ২ দিন পর সামাজিক চাপে অপহৃতা কলেজ ছাত্রীকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। এ নিয়ে গ্রামে শালিস বৈঠক হয়। বৈঠকে ঘটনাটি নিস্পত্তি হয়নি।
অবশেষে ঘটনার ৪ দিন পর ৩১ জুলাই সোমবার সকালে সামাজিক লোক লজ্জার অপমানে বিষপান করে মৃত্যু যন্ত্রনায় ছটফট করতে থাকেন কলেজ ছাত্রী রোমেনা বেগম। এ সময় জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বেলা দেড়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওসমানীতে হতভাগ্য কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে কলেজ ছাত্রীর পিতা আখলুছ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, চক আছিমপুর গ্রামের শালিসি ব্যক্তি আরিফ উল্লাহ গংরা বিষয়টি নিস্পত্তি করতে বিলম্ব করায় সামাজিক অপমানে ক্ষোভে-দুঃখে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। জানতে চাইলে শালিসি ব্যক্তি আরিফ উল্লাহ বলেন, ছেলে পরিবার মেয়েকে বিয়ে নিতে রাজি না হওয়ায় নিস্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। এখানে আমার কোন দোষ নেই। জগন্নাথপুর থানার ওসি হারুনুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ঘটনাটি আমি এখনো জানিনি। খোঁজ-খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।