জগন্নাথপুরে ২৫ বছর পর পতিত জমিতে বাম্পার ফলন

0
531
blank
জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের উদ্যোগে স্থানীয় কৃষকদের উৎসাহিত করে দীর্ঘ ২৫ বছর পর পতিত জমিতে বাম্পার ফলন হয়েছে। তা দেখে স্থানীয় কৃষক-কৃষাণির মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের পূর্বের হাওরের জমিতে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কোন ফসল ফলানো হয়নি। এসব পতিত জমি দেখে আবারো জমি চাষাবাদ করতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর। জমি চাষাবাদে উৎসাহিত করা হয় স্থানীয় কৃষকদের। তারই ফল হিসেবে দীর্ঘ ২৫ পর হাওরের ৮ হেক্টর পতিত জমিতে এবার বোরো ধান, গম, মিষ্টি কুমড়া, সরিষা, খোয়াস, শসা, ক্ষিরাসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের বাম্পার ফলন হয়েছে। জমিতে উৎপাদিত ফসল দেখে এলাকার অন্যান্য কৃষকরা জমি চাষাবাদে আরো উৎসাহিত হচ্ছেন।
সিলেট অঞ্চলে শস্যের নিবিড়তা বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় উৎপাদিত পতিত জমিতে বাম্পার ফসল পরিদর্শন ও মাঠ দিবস পালিত হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের জগদীশপুর গ্রামের পূর্বের মাঠে মাঠ দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় কৃষক রেজাউল ইসলাম তালুকদার সেনু মিয়ার সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা তপন চন্দ শীলের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিশ্বজিত কুমার পাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান, উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম, নাজিম উদ্দিন, মাহফুজুর রহমান, সমাজকর্মী মুহিবুর রহমান, আজিজুল মিয়া, আংগুর মিয়া প্রমূখ। সভায় উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, একটানা ৫ বছর কৃষি জমিতে ফসল ফলানো না হলে জমি খাস হয়ে যায়। আমরা কৃষি জমিকে খাস করতে চাই না। আমরা কৃষি জমিতে ফসল দেখতে চাই। এ জন্য জমি চাষাবাদে পানি সেচের সমস্যা হলে সরকারের কাছে আবেদন করতে হবে। তিনি অনাবাদি অন্যান্য কৃষি জমি চাষাবাদে স্থানীয় কৃষকদের আরো এগিয়ে আসার আহবান জানান।