জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যা যা করনীয় বাংলাদেশ করবে: প্রধানমন্ত্রী

0
482
blank

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করনীয় বাংলাদেশ করবে।বাংলাদেশে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ যাতে না থাকে ইতিমধ্যেই আমরা জিরো টলারেন্স অথ্যাৎ কোনবভাবেই আমরা জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবনা-এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সৌদি জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস দুর করার জন্য যে ইসলামী জোট করেছে সেই জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দেশ এতে যুক্ত হওয়ার ফলে আজকে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস্রে বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগে বাংলাদেশও আছে।  সংসদে প্রশ্নোত্তরে আজ সরকারি দলের শহীদুজ্জামান সরকারের এক সম্পুরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন। সকালে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠকের শুরুতে প্রধানমন্ত্রীর জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের সব সময় সন্ত্রাস বিরোধী একটা ভূমিকা রয়েছে। বাংলাদেশে সন্ত্রাস জঙ্গীবাদ যাতে না থাকে ইতিমধ্যেই আমরা জিরো টলারেন্স অথ্যাৎ কোনবভাবেই আমরা জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবনা -এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মুসলি উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ হওয়া এবং এই সন্ত্রাসবাদ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ানো এই আহবানও আমি সবসময় করে থাকি। ওআইসিতে আমি যতবারই গিয়েছি এই প্রসঙ্গটা তুলেছি এবং আবেদনও করেছি। মহাসচিবের সাথে দেখা হয়েছে আমি একথাটা বলেছি। তবে সৌদি আরব একটা উদ্যোগ নিয়েছে। আপনারা জানেন জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাস দুর করার জন্য একটি ইসলামী জোট করেছে। সেই জোটে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে। প্রায় ৪০টি দেশ এতে যুক্ত হওয়ার ফলে আজকে জঙ্গীবাদ সন্ত্রাস্রে বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। সেই সুযোগে বাংলাদেশও আছে। এই জঙ্গীবাদ সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য যা যা করনীয় বাংলাদেশ করবে। এটা আমি ইতিমধ্যেই সৌদি বাদশাহকে জানিয়েছি এবং অন্যান্য মুসলিম দেশকেও আমরা জানিয়েছি, ওআইসিকেও আমি জানিয়েছি এবং এ ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যে আজকে যে সমস্ত ঘটনা ঘটছে এইসব ঘটনা যেন না ঘটে। ইসলাম শাস্তির ধর্ম। এই শান্তির ধর্ম যেন সেইভাব্ েতার ধর্মটার সম্মান উচ্চতায় নিতে পারি সেই চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।

শহীদুজ্জামান সরকারের লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রধান মন্ত্রী গত ৩-৭ জুন সৌদি আরব সরকারি সফলের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, সৌদি আরবে আমার সরকারি সফরটি বাংলাদেশ সৌদি আরব সম্পর্ককে এক নতুন মাত্রায় নিয়ে গেছে। এই সফরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক ও নিরাপত্তা বিষয়ে সম্পর্কোন্নয়নে এক নতুন ও পূর্নাঙ্গ ভিত্তি তৈরী হয়েছে। প্রধান মন্ত্রী বলেন, সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের এই নতুন সম্পর্কের ফলে মুসলিম বিশ্বে বাংলাদেশের গুরুত্বপ বৃদ্ধি পাবে এবং ভাবমুর্তি আরো উজ্জলতর হবে বলে আশা করা যায়। এই সফর বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্ককে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার পাশাপাশি বাংলাদেশের সাথে মুসলিম বিশ্বের সম্পর্কের ক্ষেত্রে গতিশীলতা আনবে। এই সফরের মধ্য দিয়ে মুসলিম বিশ্বে আওয়ামীলীগ সরকারের দৃরদর্শী নেতৃত্ব পুন: স্বীকৃত হয়েছে।

প্রধান মন্ত্রী বলেন, সৌদী বাদশাহ বিশ্ব শান্তি রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন। সৌদি বাদশাহ বর্তমান বিশ্বপরিস্থিতিতে মুসলিম বিশ্বের নিরাপত্তা ও বিশ্বশান্তির বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে এ ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এছাড়া তিনি সন্ত্রাস ও উগ্র জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টরালেন্স নীতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদী সরকার প্রতিরক্ষা খাতে দ্বিপাক্ষিক সর্ম্পক উন্নয়নে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদী সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইসলামী জোটে বাংলাদেশের যোগদানের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। সৌদি সরকারকে প্রয়োজনে পবিত্র দুটি মসজিদ রক্ষায় সৈন পাঠানোর প্রস্তাব করার প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন প্রধান মন্ত্রী। তিনি বলেন, করেবাংলাদেশের জনগনের হৃদয়ে সৌদী আরবের এক বিশেষ স্থান রয়েছে।

প্রধান মন্ত্রী বলেন, সৌদী আরব বিশেষ করে মাইন ক্লিয়ারিং, প্রশিক্ষন ও সামরিক স্থাপনা নির্মান খাতে সহযোগিতা বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশের সঙ্গে সৌদী সহকারি প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদী পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশ ও সৌদী আরবের মধ্যে নিরাপত্তা পতিরক্ষা ও বিভিন্ন পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক সফরের ক্ষেত্রে অভুতপূর্বগতি বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌদী পররাষ্ট্র মন্ত্রী বাংলাদেশ ও সৌদী আরবের মধ্যে নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও বিভিন্ন পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক সফরের ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব গতি বৃদ্ধিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

সংসদ নেতা সংসদে আরো জানান, সৌদী আরব বাংলাদেশ থেকে মহিলা কর্মী দক্ষ ও আধা দক্ষ এবং বিভিন্ন পেশাজীবি পর্যায়ে নিয়োগের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সৌদী শ্রম মন্ত্রী আমাকে অবহিত করেছেন মহিলা গৃহকর্মীরাএখন থেকে তাদের পরিবার নিয়ে সৌদী আরব যেতে পারবেন।