জনগণের ‍উত্তাল প্রতিবাদে বিদায় নেবে সরকার: মির্জা ফখরুল

0
467
blank

জনগণের উত্তাল প্রতিবাদে বর্তমান সরকারকে বিদায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি উদ্বোধনকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। শনিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী প্রমুখ।

রাজধানী ঢাকা ছাড়াও সারা দেশের জেলা, মহানগর ও উপজেলায় একসঙ্গে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। দলের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ মানুষ খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্বাক্ষর করতে পারবেন।

নেতার্মীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে চলমান শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-কর্মসূচি থেকে ‘রাজনৈতিক সুবিধা’ নিতে সরকারই নানাভাবে উস্কানি দেবে, তবে তাতে পা দেয়া যাবে না।

নেতার্মীদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আমরা আদায় করব। আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করুন, রাজপথে নেমে আসুন, কোনো বিশৃঙ্খলা করবেন না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমান অবৈধ সরকার মিথ্যা, সাজানো মামলায় তাকে অন্যায়ভাবে কারাগারে আটক করে রেখেছে। কারাগার থেকে তাকে মুক্ত করবার জন্য, দেশের হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র মুক্ত করবার জন্য, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আমরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। সেই আন্দোলন আজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। তার অংশ হিসেবে আজকের এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি, এ কর্মসূচি চলতে থাকবে।

গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমরা অনির্বাচিত, অনৈক সরকারের পদত্যাগ ও খালেদা জিয়ার মুক্তি দাবি করছি। খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে দেশের মানুষ ও গণতন্ত্রকে কারাগারে পাঠিয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তি দেশের সাধারণ মানুষ ও গণতন্ত্রের মুক্তি।