জাতীয় সংসদ নির্বাচন: হেফাজতে ইসলামের টার্গেট ৩০ আসন

0
951
blank
blank

মুহাম্মদ সেলিম, চট্টগ্রাম: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০ আসনে নির্বাচন করার টার্গেট নিয়ে এগোচ্ছে দেশের বহুল আলোচিত সংগঠন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। এরই মধ্যে একটি কওমি মতাদর্শী রাজনৈতিক দলের জোট গঠন করে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করতে সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতা দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন। এ জোটটি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ব্যানারে না হলেও একটি ইসলামী রাজনৈতিক জোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবে। ইসলামী ঐক্যজোট একাংশের মহাসচিব ও হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘কওমি মতাদর্শী ইসলামী দলগুলো নিয়ে একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। কাজ কর্ম আরেকটু গুছিয়ে এ জোটের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়া হবে। ’ এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলাম ও ইসলামী ঐক্যজোটের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী বলেন, ‘হেফাজতে ইসলাম কোনো রাজনৈতিক দল নয়। তাই হেফাজতে ইসলাম রাজনৈতিক ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেবে না। তবে একটি জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে। ওই জোটের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য কিছু প্রার্থীরও তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকায় যারা রয়েছে তারা হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হেফাজতে ইসলামের এক নেতা বলেন, হেফাজতে ইসলাম এবং জোটের অন্যান্য শরিক অনেক দলেরই রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন নেই। তাই হেফাজতে ইসলাম ও অনিবন্ধিত দলগুলো ইসলামী ঐক্যজোটের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নেবে। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছে। হেফাজতে ইসলাম রাজনৈতিক দল না হওয়ায় কওমি মতাদর্শী রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে একটি জোট গড়ার প্রক্রিয়া চলছে। কওমি মতাদর্শী ইসলামী দলগুলোর একটি জোট গঠন করেই নির্বাচনে অংশ নেবে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ। জোট গঠনের সমন্বয় করছেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব ও ইসলামী ঐক্যজোটের একাংশের মহাসচিব মুফতি মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ। তার সঙ্গে রয়েছেন হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক ও ইসলামী ঐক্যজোটের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাসনাত আমিনী এবং হেফাজতে ইসলামের ঢাকা মহানগরের যুগ্ম-সম্পাদক মুফতি মোহাম্মদ তৈয়ব। তারাই হেফাজতে ইসলামকে সামনে রেখে ইসলামী দলগুলোর সমন্বয় করে আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কাজ করছে। এরই মধ্যে তারা দেশের ৩০টি আসনে নির্বাচন করার জন্য আসন ও প্রার্থীর নাম প্রাথমিকভাবে তৈরি করেছে। এসব আসন ও প্রার্থীর মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে মাওলানা মাঈনুদ্দীন রুহী, ফটিকছড়ি থেকে মাওলানা হাবিব উল্লাহ, বাঁশখালী থেকে অধ্যক্ষ ইউনুস, রাঙ্গুনীয়া থেকে মুফতি ফয়জুল্লাহ। ঢাকা-৩ আসন থেকে মাওলানা তসলিম উদ্দিন, ঢাকা-৫ থেকে মুফতি আজহার উদ্দিন। কক্সবাজার সদর আসন থেকে হাফেজ সালামত উল্লাহ ও কক্সবাজার-৪ থেকে মাওলানা ইয়াসিন হাবিব। বাকি আসনগুলো হচ্ছে ফেনী-১ থেকে মুফতি রহিম উল্লাহ, কুমিল্লা-২ থেকে মাওলানা আলতাফ হোসেন, কুমিল্লা-৩ থেকে মুফতি শাখাওয়াত হোসেন, কুমিল্লা-৪ থেকে মাওলানা আবুল খায়ের, নোয়াখালী সদর আসন থেকে মাওলানা মোহাম্মদ আরিফ, নরসিংদীর যে কোনো একটি আসন থেকে মাওলানা মোহাম্মদ ওয়াসেল, ময়মনসিংহের যে কোনো একটি আসন থেকে মুফতি মাওলানা আবু তৈয়ব, নারায়ণগঞ্জের যে কোনো একটি আসন মুফতি আবদুল কাদের, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুটি আসন থেকে মাওনালা হাসনাত আমিনী ও সাজিদুর রহমান। এ ছাড়া সিলেটের সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রাজশাহী, নওগাঁ, খুলনা, পিরোজপুর, গাজীপুর থেকে প্রার্থী দেওয়ার প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমন্বয়কারীরা।