জাসদ থেকে মন্ত্রী করার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে: সৈয়দ আশরাফ

0
451
blank

ঢাকা: পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ক্ষেত্র তৈরির জন্য জাসদকে দায়ী করে এই দল থেকে মন্ত্রী করার জন্য প্রায়শ্চিত্ত করার কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক সভায় ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের ‘হঠকারী দল’ জাসদ থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শও দেন এই ছাত্র সংগঠনটির সাবেক নেতা আশরাফ। টিএসসি মিলনায়তনে ছাত্রলীগ আয়োজিত ‘দুই দিনব্যাপী বর্ধিত সভার সমাপনী’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি এবং বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অনগ্রসরতার জন্য দায়ী করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী আশরাফুল ইসলাম। একই সঙ্গে দলটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, এদের একজনকে আবার মন্ত্রিত্বও দেয়া হযেছে। যার প্রায়শ্চিত্ত আওয়ামী লীগকে আজীবন করতে হবে। তিনি বলেন, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের নামে ছাত্রলীগ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে জাসদ গঠন করে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। স্বাধীনতা-পরবর্তী জাসদের নানা বিতর্কিত কর্মকান্ড তুলে ধরে তিনি বলেন, মু্ক্তিযুদ্ধের চেতনাকে জাসদ নামক বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রবাদীরা সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে পরিচালিত করে। মুক্তিযুদ্ধ আমাদের ইতিহাসের একটি অংশ। তারা এই সফল মুক্তিযুদ্ধকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছিল। বঙ্গবন্ধু দেশে ফেরার আগেই দেশকে ছিন্নভিন্ন করার চেষ্টা করেছিল।

সৈয়দ আশরাফ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আস্তে আস্তে দলকে সংগঠিত করেছেন। নির্বাচনে জয়লাভ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। বঙ্গবন্ধু জীবিত থাকলে দেশ আগেই অর্থনৈতিক অগ্রসরতা অর্জন করতো। শুধু হটকারীদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পূর্বের ইতিহাস জেনে এই হঠকারীদের এড়িয়ে চলবেন। বিপ্লব বিপ্লব করলে বিপ্লব হয় না। কাজ করতে হবে। আপনাদের শিক্ষিত হতে হবে। আপনার মেধা জাতির জন্য কাজে লাগাতে হবে। তখন সোনার বাংলা এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হবে। ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপসিস্থত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসহাক আলী খান পান্না, সাবেক সভাপতি লিয়াকত শিকদার প্রমুখ।