টেকনাফে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ রোহিঙ্গা নারীসহ নিহত ৩

0
589
blank

কক্সবাজার: টেকনাফে পুলিশ ‍ও বিজিরি সাথে পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক রোহিঙ্গা নারীসহ তিন ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ও বিজিবির চার সদস্য আহত হন। নিহতরা হলেন- টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের আলী আকবর পাড়া এলাকার মিয়া হোসনের পুত্র মাহামুদুর রহমান(২৮), হোয়াইক্ষ্যং ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের পুত্র মোহাম্মদ আফছার (২৫) এবং মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মন্ডু থানার রাইম্যাবিলের বদরুল ইসলামের স্ত্রী রুমানা আক্তার (২০)। রুমানা বর্তমানে লেদা অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা বস্তির ব্লক নং-সি/৬ এর ৪০নং রোমে বসবাস করেন। আর আফসার ও মাহমুদের বিরুদ্ধে মাদকসহ ৫/৬টি মামলা রয়েছে। রোববার ভোররাতে এই পৃথক বন্ধুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, রাতে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযানে গেলে ইয়াবাকারবারিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলি ছুঁড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও প্রায় ৫০ রাউন্ড গুলি চালায়। বেশ কিছুক্ষণ গুলি চালানোর পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুইটি দেহ পাওয়া যায়। তাদের টেকনাফ উপজেলা হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক কক্সবাজার রেফার করেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় বন্দুকযুদ্ধে এস আই দীপক বিশ্বাস, সহকারি উপ-পরিদর্শক এএসআই আমির ও কনেষ্টবল শরিফুল আহত হয়। এসময় ঘটনা স্থল হতে ৬টিএলজি, ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

অপরদিকে ভোররাত সাড়ে ৪টার দিকে নাফনদীতে ২বিজিবি ব্যাটালিয়নের দমদমিয়া বিওপি ক্যাম্পের সদস্যরা নাফনদীতে টহল দেওয়ার সময় ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে নৌকাযোগে একদল রোহিঙ্গা ইয়াবার চালান নিয়ে অনুপ্রবেশের সময় বিজিবি সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে। এসময় বিজিবির উপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করে এবং ফাঁকাগুলিবর্ষণ করে ইয়াবাকারবারীরা। এতে এক বিজিবি সদস্য আহত হয়। বিজিবিও আত্নরক্ষার্থে গুলিবর্ষণ করে। চোরাকারবারীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল হতে গুলিবিদ্ধ এক রোহিঙ্গা নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করে। নিহত মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগ ও ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ১০হাজার পিস ইয়াবা এবং ২টি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, মরদেহ তিনটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পৃথক মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে পুলিশ জানায়।