তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ: প্রধানমন্ত্রী

0
490
blank

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তথ্যপ্রযুক্তিতে আজ বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ আর কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। সরকারের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে গত ৭ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি উন্নয়নের ক্ষেত্রে এক যুগান্তকারী বিপ্লব ঘটেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা এখাতে ব্যাপক অবকাঠামোগত উন্নয়ন করেছি। প্রায়োগিক উৎকর্ষ সাধন, ব্যাপক ব্যবহার নিশ্চিতকরণ ও প্রান্তিক মানুষের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার ফলে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ আজ আর কোনো স্বপ্ন নয়, বাস্তবতা। তথ্যপ্রযুক্তিতে আজ বাংলাদেশ সামনের সারির একটি দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬ উপলক্ষে আজ দেয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন।
সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি যৌথভাবে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬’ আয়োজন করছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো শুরু হচ্ছে।
এ আয়োজনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে তিনি আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, বর্তমানে ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৫ কোটি। দেশের ৯৯ ভাগ এলাকা মোবাইল নেটওয়ার্কের আওতায় এসেছে। প্রায় ১৩ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। দেশে থ্রি-জি প্রযুক্তির মোবাইল নেটওয়ার্ক চালু করা হয়েছে। ফোর-জি প্রযুক্তিও অচিরেই চালু করা হবে।
তিনি বলেন, শুধুমাত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ বিভিন্ন ধরণের তথ্য ও সেবা পাচ্ছেন। ই-গভর্নেন্স কার্যক্রম চালু করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী ই-ফাইলিং, ই-ব্যাংকিং, ই-কমার্স সেবা প্রবর্তনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মোবাইল এপ্লিকেশনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় সরকারি তথ্য ও সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। প্রতিটি সেক্টরে ডিজিটালাইজেশনের ফলে সেবা প্রদানের প্রচলিত ধারায় আমূল পরিবর্তন এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়েছে। দুর্নীতি ও জনসাধারণের হয়রানি বন্ধ হয়েছে। শহর ও গ্রামের প্রযুক্তি-ব্যবধান দূর হয়েছে। এ সকল কার্যক্রম সরকারের রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সফটওয়্যারের পাশাপাশি হার্ডওয়্যার শিল্প সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছি। বিভাগীয় ও বেশ কয়েকটি জেলায় হাইটেক ও সফটওয়্যার পার্ক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। কালিয়াকৈর হাইটেক পার্ক ও যশোর সফটওয়্যার পার্কের উন্নয়ন কাজ এগিয়ে চলছে। এসব পার্ক স্থাপিত হলে শুধু হার্ডওয়্যার শিল্পেরই বিকাশ ঘটবে না, ব্যাপক কর্মসংস্থানও হবে।
প্রধানমন্ত্রী আশা করেন, বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো ২০১৬’ আয়োজনের মাধ্যমে দেশীয় হার্ডওয়্যার পণ্যের সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া সম্ভব হবে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার ও উন্নয়নে এই এক্সপো বিশেষভাবে অবদান রাখবে। তিনি বাংলাদেশ আইসিটি এক্সপো-২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
সূত্র: বাসস