তারেক রহমানের সাজা প্রতিহিংসামূলক আচরণ: মির্জা ফখরুল

0
480
blank

ঢাকা: বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার মামলায় সাজা দেয়ার ঘটনাকে সরকারের প্রতিহিংসামূলক আচরণ বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল এ কথা বলেন। জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নির্মূল করার জন্য সরকার নীলনকশা করছে বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার সংক্রান্ত মিথ্যা, বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলায় সরকার দুর্নীতি দমন কমিশনকে ব্যক্তিগত হাতিয়ারে পরিণত করে প্রতিহিংসা চরিতার্থ করছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী বিরোধী দলকে সমূলে বিনাশ করার জন্য রাষ্ট্রযন্ত্রকে বেপরোয়াভাবে ব্যবহার করছে।’ মুদ্রা পাচারের যে মামলায় জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাসের রায় দিয়েছিলেন সেটির বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই উচ্চতর আদালতে আপিল করেছিল বলে অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘দুদক এই দুরভীসন্ধিমূলক আপিলটি যে বর্তমান ভোটারবিহীন সরকারের নির্দেশেই করেছে তা আজ সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত। মুদ্রা পাচার মামলাটিতে কোনো সঠিক ম্যাটেরিয়াল ছিল না এবং সাক্ষী প্রমাণে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিংয়ের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি বলেই জজ আদালত মামলাটি থেকে তাকে খালাস দিয়েছিলেন।’ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে সরকার ও দুদকের এই আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপির মহাসচিব। সেই সাথে আজ সকালে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিএনপি সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপুসহ যুবদলের ১৩ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতারেরও নিন্দা জানান তিনি।

বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘সরকার তার নিজের অবৈধ স্বত্বা ঢাকতে একের পর এক ইস্যু তৈরি করে জনগণের মন ও ভাবনাকে বিভ্রান্ত করার অপকৌশল এঁটে যাচ্ছে। দেশ আজ নিবিড় অরাজকতায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। দেশের জনপদ-মাঠ-ঘাট-প্রান্তরে এখন শুধু রক্তের দাগ ছাড়া আর কিছু নেই। সরকারের কাছ থেকে দেশবাসী শুধুই হুমকি-ধমকি, মিথ্যাচার ও কথামালার ফানুস ছাড়া আর কিছুই পায়নি। সব ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়ে সরকার দিশেহারা হয়ে শুধু দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপিকে পর্যুদস্ত করতে উঠেপড়ে লেগেছে।’ অবিলম্বে সারা দেশে আটক হওয়া বিএনপির সব নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।