তালেবান, জেএমবি, আইএস আমেরিকার সৃষ্টি করেছে: ড. মিজান

0
468
blank
blank

ঢাকা: জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, আমেরিকা তাদের স্বার্থের জন্য হিমালয়কে অনত্র সরিয়ে নিতে হলেও তাই করবে। তারাই তালেবান, জেএমবি, হুজি, আইএস সৃষ্টি করেছে। এখন তারাই নিরাপত্তার নামে অন্য দেশের স্বাধীনতার প্রতি হুমকি সৃষ্টি করছে। রোববার রংপুরে আরডিআরএসের বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে বিভাগীয় পর্যায়ে মানবাধিকার প্রণয়ন বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন। আমেরিকার কঠোর সমালোচনা করে ড. মিজান বলেন, তাদের দেশে মাত্র ২০ জন ব্যাক্তি গোটা আমেরিকার শতকরা ৫০ ভাগ মানুষের আয়ের চেয়ে বেশী অর্থের মালিক। তাদের দেশেই মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

তিনি বলেন, হত্যার জন্য ফাঁসি দেয়া হলেও সেখানে মানবাধিকার লংঘিত হয় না। সৌদি আরবে একসঙ্গে ৫০ জনের শিরশ্ছেদ করা হলেও সে ব্যাপারে কোনো মাথা ব্যাথা নেই। অথচ বাংলাদেশে সর্বোচ্চ আদালতের রায় অনুযায়ী যুদ্ধপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হলেই অনেকের মাথা নষ্ট হয়ে যায়।

ড. মিজান বলেন, বাবা-মায়ের সামনে থেকে সন্তানকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে; তারপর দিনের পর দিন তাদের কোনো খোঁজ থাকে না। তাদের কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তারা কিভাবে আছে তা স্বজনদের জানানো হয় না। বাংলাদেশে এটা হতে পারে না। এটি সম্পূর্ণ আইন ও মানবাধিকারের লংঘন। সম্প্রতি দেশব্যাপী গণগ্রেফতারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, আইন-শৃংখলার নামে প্রতিটি জেলা থেকে প্রতদিন ৮০/৯০ জন করে মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। এতজন মানুষকে কেন গ্রেফতার করতে হবে প্রশ্ন তুলে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান বলেন, এভাবে মানুষের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য রাষ্ট্রকে জবাব দিতে হবে। তিনি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠান করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবান।

ড. মিজান বলেন, মানুষ যাতে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে এবং তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারে, সে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নিলে গণতন্ত্র ভুলুণ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, আগামী বছর জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই রংপুরে মানবাধিকার কমিশনের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয় স্থাপন করে কার্যক্রম শুরু করা হবে। পর্যায়ক্রমে দেশের সকল বিভাগে অফিস স্থাপন করা হবে।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এ কে এম নুর-উন-নবী, রংপুর বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার কাজী হাসান আহাম্মেদ প্রমুখ।