তাহিরপুরের বালিজুড়ী ইউপি নির্বাচনে ভোটারদের প্রত্যাশা নতুন মুখ

0
559
blank
blank

তাহিরপুর: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলায় ইউপি নির্বাচনে বালিজুরী ইউনিয়নের ভোটারদের প্রত্যাশা নতুন চেয়ারম্যান। সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পদ চারনায় এখন মুখরিত বালিজুড়ী ইউনিয়নের প্রতিটি পাড়া-মহল্লা হাট বাজার। সাম্ভাব্য প্রার্থীদের লিফলেট, পোষ্টার দিয়ে সাজিয়ে দিয়েছে চারদিক।

বাজার গুলোর চায়ের দোকান, পাড়া মহল্লা গুলোতে চলছে সাম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনা। কে পাচ্ছে দলীয় একক ভাবে সমর্থন কে হবে ইউপির নতুন উন্নয়নের কান্ডরী। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঘোষনা পর নতুন, পুরাতন ও বর্তমান চেয়ারম্যান দের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। দলীয় সমর্থন পাবার জন্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্য রাত পর্যন্ত দৌড়ঝাপ শুরু করেছে নেতাদের দুয়ারে দুয়ারে।

আর সুযোগ বুঝে র্শীষ নেতাদের বার বার জনগনের মাঝে নিজেদের অবস্থান ও গ্রহন যোগ্যতা বুজানোর চেষ্টায় করছে। আবার অনেকেই সকল ভুল শুধরে নিযে নতুন ভাবে চলার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে র্শীষ নেতাদের পাশা পাশি নির্বাচনী এলাকার ভোটারদের। আর তাদের সমর্থক ও কর্মীরা চালিয়ে যাচ্ছে নির্বাচনী প্রচারনা প্রতিটি গ্রামে ও হাট বাজার গুলোতে। প্রার্থীরাও সুযোগ বুঝে মিলিত হচ্ছে গ্রামের বিভিন্ন অনুষ্টান,সভা-সমাবেশের ও প্রচারনার মধ্য দিয়ে। অন্যান্য ইউনিয়নরে চেয়ে এই ইউনিয়ননে ব্যাপক হারে নদী পথে চাঁদাবাজি, চোরাচালান সংগটিত হয়।

এই ইউনিয়নে রয়েছে ফাজিলপুর বালু, পাথর মহাল, যাদুকাটা নদীর কিছু অংশ যা থেকে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা চাদাঁবাজি হয়ে থাকে চলে শক্তির মহড়া। ফলে এখানে শক্তিশালী কোন পদ আকরে ধরতে না পারলে চাঁদার ভাগ পাওয়ার ও ভাল অবস্থান পাওয়া কঠিন। যার জন্য চেয়ারম্যান পদটি এখানে খুবেই গুরুতপূর্ন হয়েছে বর্তমান সময়ে। যদি একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়া যায় তাহলে আর কোন সমস্যা নেই ক্ষমতার ও সুযোগ সুবিধা ভোগ করার।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর শুধু লুটপাট আর চাদাঁবাজিতেই ব্যবস্থ সময় পার করা যায়। নির্বাচনে খরচের টাকা হাসিল করার জন্য পুকুর চুরি করার কারনে জনগনের উন্নয়ন করার কথা মাথায় থাকে না। যার কারনে এই ইউনিয়নে রাস্তা-ঘাট সহ এলাকার জনগনের তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি। ক্ষমতার জোড়ে বার বার নির্বাচিত হওয়ায় কারনে অবহেলিত রয়েছে এলাকার জনসাধারন। যার জন্য দলীয় প্রতীকে নির্বাচন কমিশনের ঘোষনা দেবার পর এই ইউপির ভোটাদের মাঝে আরো বেশি জোরালো হয়েছে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার জন্য।

অভিযোগ রয়েছে এই ইউনিয়ন পরিষদে ৫ বছরের মধ্যে কোন ধরনের উন্নয়ন হয়নি হয়েছে পুকুর চুরি যার জন্য বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান হয়েছে বার বার বিতর্কিত। তার বিরোদ্ধে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা, লুটপাঠের অভিযোগ। যার কারনে এই ইউনিয়নরে সকল জনগন সহ মুক্তিযোদ্ধা,বতর্মান মেম্বারগন তার বিরোদ্ধে করেছেন মানববন্ধ ও অনাস্থা।

বর্তমান চেয়ারম্যান কে দলীয় সমর্থন না দিয়ে নতুনদের মধ্যে যোগ্য,কর্মঠ,ত্যাগী প্রার্থীকে দলীয় সমর্থন দিয়ে নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত করার জন্য উপজেলা ও জেলার র্শীষ নেতাদের কাছে আ,লীগ সমর্থক ভোটার ও স্থানীয় নেতারা জোরালো দাবী জানান।

অন্য দিকে বিএনপির সমর্থকরা চাইছে আ,লীগ বিরোধী চেয়ারম্যানের নির্বাচিত করতে চাইলে দলের কথা না ভেবে জনগনের উন্নয়ন, উপকার, চাদাঁবাজি না করে ও নিজ স্বার্থ ত্যাগ করে যে সঠিক ভাবে ইউনিয়ন বাসীর জন্য কাজ করবে তেমন যোগ্য, সৎ, কর্মঠ ও ত্যাগী প্রর্থীকে দলীয় সমর্থন দেওয়ার আহবান জানান বিএনপির নেতা, কর্মী, সমর্থকগন ও ভোটারগন।

এই ইউপির সাম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হল-ফেরদৌস আলম(বিএনপি), সাকায়াত হোসেন(বিএনপি), সাইফুল ইসলাম(বিএনপি), হোসেন মিয়া(বিএনপি), মিলন তালুকদার (আ,লীগ), সামায়ুন কবির (আ,লীগ), মহিবুর রহমান(আ,লীগ), বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান(আ,লীগ), নজির হোসেন (জাতীয় পাটি) প্রমুখ।