ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি না হলে দুদেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্কে দূরত্ব বাড়বে। যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বাংলাদেশের রাজনীতিতেও। এমন মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. শহিদুজ্জামান ও অধ্যাপক ড. শহিদুজ্জামান। তাদের মতে, প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরে যেসব বিষয়ে চুক্তি হতে যাচ্ছে তার অধিকাংশই ভারতের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট। দেশের স্বার্থ রক্ষায় তিস্তা চুক্তি সম্পাদনে সরকারের প্রতি পরামর্শ দেন তারা।
প্রথম বাধাটা আসে ২০১১ সালে। তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে তার ঢাকা আসার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই সফর বাতিল করেন। ফলে সব কিছু প্রস্তুত থাকলেও মমতার উপস্থিতি না থাকায় আটকে যায় তিস্তা চুক্তি। এরপরেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দুই বার বাংলাদেশ সফর করেন মমতা। বার বার আশ্বাস দেয়া সত্ত্বেও তিস্তার পানি যেন দীর্ঘ দিনের জন্য ভারতে আটকে যায়।
এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের প্রসঙ্গ উঠতেই সামনে চলে আসে তিস্তা। কিন্তু দুভার্গ্যজনক প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ে যে ৪১টি চুক্তি বা সমঝোতা স্বাক্ষরের কথা সেই তালিকায় নেই তিস্তা চুক্তি।
বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. শহিদুজ্জামানের মতে, নিজের স্বার্থ রক্ষার জন্য ভারত বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা ইস্যুর নিষ্পত্তি চায় না। প্রধানমন্ত্রীর এবারের সফরেও এ ইস্যুর সমাধান না হলে তা শুধু দুদেশের জনগণের মধ্যেই নয় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে দেশের রাজনীতিতেও।
আরেক বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেনের মতে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতার সুসম্পর্ক না থাকা আর তিস্তা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী যে রাজনৈতিক ইস্যু তৈরি করেছেন তাতে এ বিষয়ে দ্রুত সমাধান সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে তিস্তা সমস্যার সমাধানে কেন্দ্রীয় সরকারকেই উদ্যোগ নিতে হবে।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সুসম্পর্কের কথা বিবেচনা করে ভারতেরই উচিৎ বাংলাদেশকে তার পানির ন্যায্য হিস্যা মিটিয়ে দেয়া বলে মত দেন তারা।