তুরষ্কের সেকুলার কামাল আতাতুর্কের শেষ দিনগুলি !

0
6574
blank
blank

আমার বাংলা ডেস্ক: তুরষ্কের ‘বার্ক’ হোটেলে চিকিৎসা চলছে মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের। পশ্চিমাদের এই পা-চাটা গোলাম তখন মৃত্যুর প্রহর গুণছে। প্রাণ যায় যায় অবস্থা। কোনো ধরণের চিকিৎসা কাজে আসছে না। ডাক্তাররাও অপারগ হয়ে গেছে। অপারগ না হয়ে উপায় আছে? রোগটাই যেখানে সনাক্ত করা যাচ্ছে না! এ এক অদ্ভুত রোগ! ডাক্তারদের অবস্থা হলো, দুপেয়ে এই পশুটার প্রাণবায়ুটা কোনোরকম বেরিয়ে গেলে তারা হাঁফ ছেড়ে বাঁচল! ওর প্রতিটা মুহূর্ত অতিবাহিত হচ্ছে হেচকা টান দিয়ে দিয়ে! একবার নিঃশ্বাস ফেলার পর আরেকবার তা নেয়ার আশাই নাই।

এরকম একটি নাজুক, ভয়ানক ও ঝুঁকিপূর্ণ মুহূর্তে হুটেলের নিকটস্থ কোনো একটি ছোট্ট মসজিদের মিনার হতে ভেসে আসল মুয়াজ্জিনের আজান। মরা লাশের মতো পড়ে থাকা এই অভিশপ্তটা একটু সচকিত হয়ে উঠল! কান খাড়া করে শুনতে চাইল- এটা কিসের আওয়াজ! যখন বুঝতে পারল- এটা মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসা আজানের ধ্বনি, তখন আশেপাশের লোকদের উদ্দেশ্য করে বলল, ‘দেখো! এই লোকটি (মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কীভাবে তাঁর নাম ও প্রসিদ্ধিকে চির ওমর করে রেখে গেছে! প্রতিটা মুহূর্তে পৃথিবীর প্রতিটি স্থানে তাঁর নাম বারবার উচ্ছারিত হচ্ছে!’ এরপর সে মিনারটা গুঁড়িয়ে দেয়ার আদেশ জারি করে!
মৃত্যুর দোড়গড়ায় পৌঁছেও যে অভিশপ্ত এরকম ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথা বলত, সে ছিল খুবই ভীতু! মৃত্যুকে বড় ভয় করত! নিজ পরিণতি নিয়ে ভীতসন্ত্রস্ত থাকত! তার চারপাশে সার্বক্ষণিক বড় বড় অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের জটলা বাঁধিয়ে রাখত। এত আয়োজনের পরও সে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। আল্লাহ তা’আলা অদ্ভুত এক রোগ দিয়ে অভিশপ্তটাকে দুনিয়াতেই লাঞ্চিত করেছেন। লিভারে আক্রান্ত রোগের কারণে তার পেট থেকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে সব পানি বের করতে হয়েছিল। অতিরিক্ত নারীমিলনের কারণে খবিসটা সিফিলিস রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েছিল!
শুধু কি তাই?! মৃত্যুর আগের দিনগুলোতে সারা শরীরজুড়ে একপ্রকার অদৃশ্য পোকার আক্রমণে অস্থির হয়ে পড়েছিল। চুলকানিতে তার গোটা শরীররের রং বদলে গিয়েছিল। কাপড় খুলে সে প্রায় উলঙ্গ হয়ে থাকত! নাক থেকে গলগল করে রক্ত বেরোত! দেহের চামড়া একেবারে বেঙের খোলসের মত হয়ে গিয়েছিল! রক্ত, পুঁজ ও পানি বেরোত সবসময়। নাক চেপে ধরেও দুর্গন্ধ সহ্য করা যেত না! চিকিৎসা করার সময় ডাক্তারদের নাড়িভুঁড়ি বেরিয়ে আসার উপক্রম হত! তবুও তাদের চিকিৎসা করতেই হত। আধুনিক কুফরি তুরষ্কের জনকের চিকিৎসা বলে কথা! যন্ত্রণার তীব্রতায় বুভুক্ষু কুকুরের ন্যায় ঘেউঘেউ করত! শেষ পর্যন্ত এ রোগ তার চেহারায়ও ছড়িয়ে পড়ে। পরে দেখা যায়, একধরণের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র লাল পিঁপড়ে তাকে কামড়ে অতিষ্ঠ করে তুলেছিল। যে পিঁপড়েগুলোর আসল আবাস সুদূর চীনের বন-জঙ্গলে।
প্রায় দু’বছর অসহনীয় যন্ত্রণায় ভোগে জলাতঙ্ক রোগীর ন্যায় ঘেউঘেউ করে ১৩৫৮ হিজরির ১৬ই শাবান মুতাবিক ১৯৩৮ সালের ১০ নভেম্বর অভিশপ্তটা দুনিয়ায় তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। মৃত্যুর পর তার জানাযার নামাজ নিয়ে বিভক্তি দেখা দেয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জানাযার বিপক্ষে এবং সেনাপ্রধান জানাযার পক্ষে অবস্থান নেন। অবশেষে শরফুদ্দিন আফেন্দি নামের এমন এক সরকারি ভাড়াটে মোল্লা তার জানাযার নামাজ পড়ায়, যে নিজেও ছিল নিন্দিত এবং ঘৃণিত! অবাক বিস্ময়ের ব্যাপার হল যে, মৃত্যুর পর তুরস্কের শাসনকার্য পরিচালনার জন্য মুস্তফা কামাল পাশা যাকে মনোনীত করে রেখেছিল, সে হল তৎকালে তুরস্কে নিযুক্ত ইংল্যান্ডের দূত। এভাবেই দুনিয়াবাসীকে প্রমাণ করিয়ে দিয়ে যায় যে, জীবনভর সে ছিল পশ্চিমাদের এক পোষা কুকুর।
সুবহানাল্লাহ! তুরষ্কের মাটি থেকে আল্লাহর নাম মিটিয়ে ফেলা এই আল্লাহদ্রোহীকে আল্লাহ তা’আলা সুদূর চীনের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র লালপিঁপড়ে দিয়ে শায়েস্তা করলেন! তিনি কতইনা ক্ষমতাবান! আল্লাহ তা’আলা বলেন, আপনার পালনকর্তার বাহিনী সম্পর্কে একমাত্র তিনিই জানেন। (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত-৩১)
[সূত্র: ড. রাগিব সিরজানি পরিচালিত জনপ্রিয় সাইট “কিসসসাতুল ইসলাম” কর্তৃক ০৫/১১/২০১৩ তারিখে ‘মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক’ শিরোনামে প্রকাশিত আর্টিকেল অবলম্বনে।]