দঃ সুনামগঞ্জের যুব ও ছাত্রজমিয়তের কাউন্সিল ও আমার কিছু কথা

0
510
blank
blank

মো.নাইম তালুকদার: মনটা ভালো নেই, তেমন ভালো ছিলনা আমার শরীর টাও। কিন্তু আমার উপর অর্পিত দায়িত্ব যেহেতু মফস্বল এড়িয়ায় কাজ করি বিধায় সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাইতে হয়েছিল সুনামগঞ্জের দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার যুব ও ছাত্রজমিয়তের কাউন্সিলে নোয়াখালী বাজারে। বেলা প্রায় তিনটা কর্মের তাগিদে ও তাদের স্বার্থে তড়িৎ গতিতে পৌছে যাই মূল গন্তব্যে । হল রুমে প্রবেশ করা মাত্রই চোঁখে ভেসে উঠে দক্ষিন সুনামগঞ্জ ও জগন্নাথপুর’র আসনের সাবেক এমপি ও বাংলাদেশ জমিয়তের যুগ্ন মহাসচিব এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরীর চেহারা মোবারক। খুব সুন্দর সান্দর হয়ে স্টেজ এ বসে আছেন তিনি। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো শাম করতালে বিকট শব্দের চেয়ে ভয় নাক আগত জমিয়ত কর্মীদের গলার কণ্ঠস্বর। চার দিকে হাও মাও কে শুনে আর কার কথা সবাই এখন মাতব্বর। নেই নিয়ম শৃঙ্খলা বড়দের প্রতি মান্যতা টকো নেই তাদের। পদের জন্য সবাই এখন পাগল পাড়া।

চারদিকে শুরগুল কে কার আগে ভোট সংগ্রহ করবে কে কাকে কান মন্ত্রদিয়ে তার কাঞ্চিত প্রার্থীর পক্ষে ভোট ব্যাংক করবে এ নিয়ে পরোটা হল রুমে এক অশৃঙ্খল পরিবেশের আগমন ঘটে । সিনিয়রদের কথা বার্তাতে মোটেই কান দিচ্ছেন না জুনিয়রা। সিনিয়রা দলের আদর্শের প্রতিচ্ছবিকে ধরে রাখতে গিয়ে একটু উচ্চুস্বরে কথা বলে কিছু সিনিয়রদের প্রতি ফুসে উঠেন অনেক ছাত্রজমিয়ত নেতারা। চার দিকে হাও মাও মনে হয় এক অশৃঙ্খল সৃষ্টি পরিনিতি হয় আজকের এই যুব ও ছাত্রজমিয়তের কাউন্সিল অঙ্গন। টেলা টেলি আর ধাক্কাধাক্কি মধ্যেদিয়ে আজকের কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। তবে নানা অভিযোগ রয়েছে অনেক সচেতন জমিয়ত প্রেমীদের। কারণ কিছু চাপাবাজ আর ছুরতী আলেম নামক একটি চক্র জমিয়তের নাম বাঙিয়ে অনেক আর্থিক ও জাগতিক ফায়দা হাসিল করে বেড়ায়। চাঁদা পর্যন্ত আৎসাত করার অভিযোগ রয়েছে কিছু সংখ্যক উচ্চু পদ দারী নেতাদের উপর। তবে আজকের কাউন্সিল ও আমার কিছু কথার মূল মর্মভেদ হলো আমি পরিষেশে এই কথাটি বলতে চাচ্ছি যে,হক ও হক্কানিয়াতের পতাকা বাহী সংগঠন ও আকাবীর আসলাফের রেখে যাওয়া আমানত মনে করে অনেক জমিয়ত প্রেমী ভাই ও সরল মনা বোনেরা জমিয়ত করেন অন্ধের মতো। কিন্তু কিছু ছাটুকারদের কারণে জমিয়ত আজ কুষলিত কেন?। তবে যারা মুখ ফুলিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে ঘুরে বলেন আমরা আকাবীর আসলাফের রেখে যাওয়া জমিয়ত করি। তাদের কি একটু লজ্জা করেনা যে পদের জন্য ধাক্কাধাক্কি ও চেয়ারের বাড়াবাড়ী কথা মনে পড়লে। তবে যুব ও ছাত্রজমিয়তের কাউন্সিলের নির্বাচন কমিশন যতই ফেয়ার দায়িত্ব পালন করুক না কেন?

বাহিরে অনেক কারচুপি হয়েছে। যুব জমিয়তের কাউন্সিলের পালায়। বিজ্ঞ যুব ও ছাত্রজমিয়ত নেতাকর্মী অনেক আক্ষেপ করে বলেছেন, যে আমরা আওয়ামী ও বিএনপির রাজনীতের মতো কুকুরের হাকরা হাকরিতে মশুল হয়ে গেছি । কোথায় গেল আমাদের আকাবীরদের আদর্শ আমরা কি আজ ভোটের কাউন্সিল করতে হতো। জমিয়তে তো এ নিয়ম হয়েছে শুধু সুবিধাবাদীদের জন্য। যারা প্রকৃত জমিয়ত করেন তারা কোন দিন এই ভোটে বিজয়ী হয়ে পদ দাবী করে খিল খিল করে আসবেন না। আজ যে একটা নতুন নিয়ম আমাদের মাঝে এসে পৌছল যা শুনে মাথাটা একেবারেই নষ্ট হয়ে যায়। সামন্য কিছু একটা কাউন্সিলে পদ পেলেই সংর্ধনা বেজে উঠে আলীম সমাজে, সেটা কি ছিলো আকাবীর আসলাফের জীবন তালিকায়। সেলফী আর ছবির কথা না বলে আজ পারছিনা স্টেজ উঠে একটা ছবি না তুলেই মহাভারত ধংস। আমাদের আকাবীর আসলাফ কি অসংখ্য ছবি তুলেছেন মনে হয় নাকি? শুধু মুখে আর মাইক মঞ্চে দাঁড়িয়ে নাম মাত্র সবক বললে কাজ হবে না। ঁতাদের সুনালী জিবনের ইতিহাসকে ভালো করে দর্শন করে সমাজ সেবা করতে হবে।

লেখক: সাংবাদিক